আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতাকে ঘিরে মানবিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করলো তুরস্ক। অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণ এবং সেখানের পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আঙ্কারা। এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
শনিবার এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি সেনাদের গাজায় নৃশংস হামলা, যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখান, ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে না দেওয়ার ফলে যে মানবিক ট্র্যাজেডির সৃষ্টি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের তুর্কি রাষ্ট্রদূত সাকির ওজকান তোরুনলারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সহিংসতা শুরুর পর থেকে তেল আবিবের কড়া সমালোচনা করে আসছে তুর্কি প্রশাসন। এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৯শ’ শিশু। অপরদিকে হামাসের হামলায় ১৪শ’ ইসরায়েলি সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিয়র হায়াত তুরস্কের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এক টুইট বার্তায় বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত হামাসের পক্ষে তুর্কি প্রেসিডেন্টের আরেকটি পদক্ষেপ।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো হামাসকে কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনে করে না তুরস্ক। এছাড়া সহিংসতা শুরুর পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে তুরস্ক। এরই জের ধরে শুক্রবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন তিনি। এরদোয়ান আরও বলেন, এই সহিংসতা শেষে গাজাকে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখতে চান তিনি।
এদিকে গত মাসে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর নিরাপত্তা ইস্যুতে তুরস্ক ছেড়েছে ইসরায়েলি কূটনীতিকরা। যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরবর্তী সময়ে জানিয়েছে যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা চিন্তা করে ওই সব কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :