গাজায় আরও ‘নারকীয় দৃশ্য’ উদঘাটন হবে, সতর্ক করলো জাতিসংঘ


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৫, ২০২৩, ৮:২৩ পূর্বাহ্ন /
গাজায় আরও ‘নারকীয় দৃশ্য’ উদঘাটন হবে, সতর্ক করলো জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় মানবিক বিপর্যয় দিন দিন বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস। তিনি বলেন, গাজার আর কোন জায়গা নিরাপদ না। রবি ও সোমবার (৩ ও ৪ ডিসেম্বর) গাজাকে উদ্দেশ করে সবচেয়ে ভারি বিমান, স্থল এবং সমুদ্রে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ৩৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন গত দুদিনে। আহতের সংখ্যা ৭৫০। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। 

ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস সতর্ক করে জানিয়েছেন, গাজায় আরও নারকীয় দৃশ্য উন্মোচিত হতে চলেছে। এখন দক্ষিণ গাজাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। সেখানে সাহায্য প্রদানের মতো অবস্থা নেই। তিনি বলেন, আমরা যা দেখছি তা কোনও আশ্রয়ব্যবস্থার মধ্যে পড়ে না। বিশুদ্ধ পানির অভাব, সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব এবং এরই মধ্যে মানসিক ও শারীরিকভাবে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অপুষ্টি, পানিবাহিত রোগে ভুগছে মানুষ। 

জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী অফিসের প্রতিবেদন:
সোমবার গাজার দক্ষিণে রাফাহ এলাকায় সামান্য আটা ও পানি বিরতণ করা সম্ভব হয়েছে। খান ইউনিসের কাছাকাছি পৌঁছালে ত্রাণ বন্ধ হয়ে যায়। 

খান ইউনিস থেকে রাফাহ পালিয়ে আসা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের থাকার জায়গা নেই। তারা রাস্তায় বা খোলা জায়গায় তাঁবু গেড়ে থাকছে। সোমবার সন্ধ্যায় গাজায় টেলিযোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সাহায্য সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, যোগাযোগের অভাবে ‘জীবন রক্ষায় সহায়তার’ ব্যবস্থা আরও ব্যাহত হবে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন যাদের শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।