গাজায় সীমিত পরিসরে জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দিলো ইসরায়েল


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৮, ২০২৩, ৮:২৫ পূর্বাহ্ন /
গাজায় সীমিত পরিসরে জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দিলো ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি তেল প্রবেশ করতে পারবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে চরম জ্বালানি সংকটে ভুগতে থাকা গাজার  ফিলিস্তিনিদের কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘গাজায় প্রতি দুই দিনে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি তেল প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।’

এই জ্বালানি তেলের বেশির ভাগই মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাক এবং গাজায় পানি ও স্যানিটেশনের সুবিধা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘকে দেওয়া হবে। বাকিটা ব্যবহার করা হবে জ্বালানি তেলের অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া মুঠোফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা সচল রাখার জন্য।

শুক্রবার, গাজার যোগাযোগ সরবরাহকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর কাছ থেকে কিছু জ্বালানি পাওয়ার পর সেখানকার যোগাযোগ পরিষেবা কিছুটা সচল হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ইউএনআরডব্লিউএ ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলে, চরম জ্বালানি সংকটের কারণে গাজায় তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। এর পরই সেখানে সীমিত পরিসরে জ্বালানি সরবরাহের অনুমতি দিলো ইসরায়েল।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, গাজায় জ্বালানি সরবরাহের এ সিদ্ধান্তটি সপ্তাহখানেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। তবে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণায় দেরী হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি কারণ দেখিয়েছিলো ইসরায়েল।

প্রথমত, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে জ্বালানি তখনও ফুরিয়ে যায়নি। দ্বিতীয়ত, জ্বালানির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক কিছু বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করতে চেয়েছিল তারা।

উল্লেখ্য, জ্বালানি, সুপেয় পানি ও কিছু ক্ষেত্রে খাবারের জন্য গাজাবাসী ইসরায়েলের ওপর নির্ভরশীল। ইসরায়েলের বেঁধে দেওয়া সময়ে, নির্ধারিত করিডোর হয়ে সেখানে খাবার-পানি পৌঁছায়।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা বোমা হামলা চালানোর পাশাপাশি গাজার ওপর স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে কড়া অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল। শুধু মিসরের সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এ পথে মানবিক সহায়তার ট্রাক ঢুকলেও জ্বালানি নিতে দেওয়া হয় না।