গাজা ইস্যুতে চতুর্থবারের মতো স্থগিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ১২:২২ অপরাহ্ন /
গাজা ইস্যুতে চতুর্থবারের মতো স্থগিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট আবারও স্থগিত হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত পেছানো হলো এ ভোটগ্রহণ। এ নিয়ে টানা চতুর্থবার এমন ঘটনা ঘটলো। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

এর আগে, বুধবার তৃতীয় দফায়, মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় এবং সোমবার প্রথম দফায় নিরাপত্তা পরিষদের ভোট স্থগিত হয়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কূটনীতিকরা শুক্রবার পর্যন্ত গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর একটি প্রস্তাবের ভোট স্থগিত করেছেন।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধরত ইসরায়েল এবং হামাসকে একটি নতুন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করার চেষ্টায় মিসরে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আরেক দফা আলোচনা হয়েছে৷

এর আগে,  হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ’র সঙ্গে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার আলোচনা হয়। তবে সে আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হয়নি।

গাজায় আরও একটি যুদ্ধবিরতির আওতায় জিম্মি বিনিময়ের লক্ষ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। খসড়াটিতে  নিরাপদ এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি দেওয়া এবং টেকসইভাবে এই সংঘাত বন্ধে জরুরি পদক্ষেপের নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবটিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সংঘাত জড়িত সব পক্ষকে অবশ্যই তাদের সীমা মেনে চলতে হবে। সেইসঙ্গে জাতিসংঘের একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা দ্রুত মোতায়েন করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জিম্মি বিনিময়ের বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনিরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তা হলো, আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হলে বন্দিদের নিয়ে বা বন্দি বিনিময়ে কোনও আলোচনা হবে না।

এরআগে, বুধবার হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহও সাফ জানিয়েছিলেন,  অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন পুরোপুরিভাবে বন্ধ না করলে কোনও প্রকার আলোচনা হবে না।

এদিকে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও, ৪১ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দীর্ঘ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণে ইসরায়েলি বোমা হামলা এবং ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবের ওপর হামাসের রকেট হামলা অব্যাহত রয়েছে। ফলে গাজা উপত্যকায় দুপক্ষের যুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে।