আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার হাসপাতালের পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতাল ঘিরে ফেলেছে। চারদিকে অবস্থান নিয়ে তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে হতাহতের সংখ্যা জানাতে গিয়েও প্রতি মুহূর্তে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘ বলছে, হাসপাতালের সঙ্গে যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে তার ফলে গাজায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসছে। এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো এখন গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফাকে ঘিরে রেখেছে। ড্রোন ও স্নাইপার তাক করে রাখা হয়েছে হাসপাতালের দিকে।
হাসপাতালের এক সার্জন রবিবার আল জাজিরাকে বলেন, একজন প্রকৌশলী হাসপাতালে বিদ্যুৎ এর সমস্যা ঠিক করার চেষ্টা করছিলেন ঠিক সে সময় তাকে গুলি করা হয়। পরে সে আহত হয়। তিনি এমনও এক পরিবারকে দেখেছিলেন যারা হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
ওই সার্জন আরও বলেন, আমরা খুব কমই হাসপাতালের মধ্যে রোগীদের চিকিৎসা করতে পারি। হাসপাতালে যেন মনে হয় আমরা যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝখানে আছি। ক্রমাগত বিমান হামলা চলছে, এবং ড্রোনগুলো হাসপাতালের চারদিকে তাক করে আছে।
এদিকে আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া, শনিবার আল জাজিরাকে বলেছেন, নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে বিদ্যুতের সমস্যার কারণে দুইটি শিশু অকালে মারা গিয়েছে, ৩৭ শিশু মৃত্যুর ক্ষণ গুনছে।
রবিবার ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বলেছে, জ্বালানির ঘাটতি এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে আল-কুদস হাসপাতাল আর চালু হচ্ছে না।
পরিস্থিতি এতটাই সংকটপূর্ণ যে, গাজার সর্বশেষ আপডেট স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গত শুক্রবার। সেই তথ্য মতে, মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার নারী ও শিশু। প্রায় ৩ হাজার ফিলিস্তিনি এখনও নিখোঁজ রয়েছে যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে বা মারা যেতে পারে। এছাড়া আরও ২৭ হাজার ৪৯০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :