পৃথিবীর বুকে শিশুদের জন্য ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান’ গাজা: ইউনিসেফ


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ৮:০৩ পূর্বাহ্ন /
পৃথিবীর বুকে শিশুদের জন্য ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান’ গাজা: ইউনিসেফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে শিশুদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। এমনকি গাজায় শিশুদের ওপর সংঘটিত সহিংসতার প্রভাবকে ‘বিপর্যয়কর’ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

শিশুমৃত্যুর এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এর আগে দেখেনি আধুনিক বিশ্ব। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে দক্ষিণে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় সেদিন থেকেই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। টানা দেড় মাস ধরে চলমান এ আগ্রাসনে গাজায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের প্রায় অর্ধেকই শিশু। তাদের এ সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে আধুনিক বিশ্বে কোনও যুদ্ধ বা সংঘাতে এত সংখ্যক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এমনকি প্রায় দুই বছর ধরে চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেও নারী ও শিশুসহ এত সংখ্যক বেসামরিক মৃত্যুর রেকর্ড নেই।   

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ৫ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সর্বশেষ এই যুদ্ধের প্রকৃত মূল্য সহিংসতায় যারা নিহত হয়েছে এবং যুদ্ধের জেরে যাদের জীবন চিরতরে বদলে গেছে তাদের সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ করা হবে।

রাসেল সতর্ক করেন, চলমান এই যুদ্ধের সমাপ্তি এবং সম্পূর্ণ মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার ব্যতিত মৃত্যুর এই সংখ্যা দ্রুতগতিতে কেবল বাড়তেই থাকবে। গত সপ্তাহে গাজা পরিদর্শন করেছেন ক্যাথরিন রাসেল।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখে আসার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে রাসেল বলেন, ‘শিশু হয়ে জন্ম নেওয়ার জন্য গাজা উপত্যকা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা। গাজায় শিশুদের ওপর সংঘটিত সহিংসতার প্রভাব বিপর্যয়কর, নির্বিচার এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’

শুধু মানবিক বিরতি ‘যথেষ্ট নয়’ উল্লেখ করে রাসেল বলেন, “বোমা, রকেট এবং বন্দুকযুদ্ধ ছাড়াও বিপর্যয়কর জীবনযাত্রার কারণে ‘চরম ঝুঁকিতে’ রয়েছে গাজার শিশুরা।”

রাসেল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘গাজার দক্ষিণে ইসরায়েলের আরও সামরিক শক্তি বৃদ্ধি সেখানকার মানবিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটাবে…আরও বাস্তুচ্যুতি ঘটাবে…এবং বেসামরিক নাগরিকদের আরও সংকীর্ণ জায়গায় থাকতে বাধ্য করবে। তাদের দক্ষিণাঞ্চলের আক্রমণ এড়াতে হবে।’