রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের অবসান নিয়ে যা বললেন জেলেনস্কি


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২০, ২০২৩, ১২:৪৬ অপরাহ্ন /
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের অবসান নিয়ে যা বললেন জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় দুই বছর হতে চলেছে। এই মুহূর্তে আরও পাঁচ লাখ সেনাকে মোতায়েন করতে চায় দেশটির সেনাবাহিনী। এমনটাই বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধ কবে শেষ হবে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এ প্রশ্নের উত্তরে জেলেনস্কি বলেন, এই উত্তর কেউ জানে না। মঙ্গলবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জেলেনস্কি। ফ্রান্সের সম্প্রচারমাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর এ কথা জানিয়েছে।

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনবাসী, আমাদের সেনা সদস্যরা, পশ্চিমা দেশের যারা আমাদের সহায়তা করেছে তারা কেউই জানে না যুদ্ধ কবে শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, কমান্ডাররা এরমধ্যে চার থেকে পাঁচ লাখ সেনা সদস্য চান বলে জানিয়েছেন।  তবে এরইমধ্যে ৫ লাখ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে কতদিন প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে সেই প্রশ্ন এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজ আটকে দেয় রিপাবলিকানরা। এরপর গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫০ বিলিয়ন ইউরোর একটি তহবিল আটকে দিয়েছে হাঙ্গেরি। যদিও ইউরোপের নেতারা বলছেন, ইউক্রেনে সহায়তা বন্ধ করা হবে না।

ওয়াশিংটন বিশ্বাসঘাতকতা করবে না

জেলেনস্কি বলেন, আমি নিশ্চিত যে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ফলাফল যুদ্ধে শক্তিশালী প্রভাব ফেলবে। কারণ  বাইডেনের  থেকে ট্রাম্পের নীতি অবশ্যই আলাদা।

যুদ্ধ নিয়ে অশান্তির মধ্যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক মঙ্গলবার বলেছেন, ইউক্রেন সংঘাতের কারণে বিশ্ব বিচলিত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ান ফেডারেশন বাহিনী  যুদ্ধাপরাধ চালাচ্ছে।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুগুলোও যুদ্ধের প্রচেষ্টার পিছনে ভূমিকা রাখছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সামরিক অভিযানের লক্ষ্যগুলোও ছাড়তে চাচ্ছিনা।

নেতার ওপর আস্থা কমে যাওয়া

সম্প্রতি জরিপে দেখা যায়, ইউক্রেনের জনগণ যারা জেলেনস্কিকে সমর্থন করেন সেই হার এক বছর আগে ৮৪ শতাংশের তুলনায় ৬২ শতাংশে নেমে এসেছে।  

চলতি বছরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ সীমিত ছিল।  শুধু তাই না, রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে দক্ষিণ এবং পূর্বে মাত্র কয়েকটি গ্রাম পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে ইউক্রেন।

জেলেনস্কি বলেন, তিনি সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য কয়েক হাজার সেনাকে একত্রিত করার একটি অনুরোধ পেয়েছেন। তবে এই মতামতকে সমর্থন করার জন্য আরও যুক্তির প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

ইউক্রেনের এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা বলেন, পূর্ব খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করা কষ্টসাধ্য ছিল, কারণ ইউক্রেনীয় বাহিনী সংখ্যায় কম ছিল।

কৃষ্ণ সাগরে অসাধারণ সাফল্য

বেশ কয়েকটি সফল হামলার পর ইউক্রেনীয় ড্রোন আবার কয়েকটি রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজকে তাক করছে। মস্কোর হুমকি সত্ত্বেও ইউক্রেন তার কৃষ্ণ সাগর বন্দর ব্যবহার করে বাণিজ্যিক পণ্যবাহী জাহাজের জন্য একটি সামুদ্রিক করিডোর পুনরায় খুলেছে। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ান নৌবহরের আধিপত্য কমেছে।