আশ্রয় ডেস্ক
প্রথমার্ধে কিছুটা দাপট দেখিয়েও মোহামেডান গোল করতে পারেনি। বিরতির পর সুযোগ এলো। এবার তা সহজেই কাজে লাগাতে পেরেছে সাদা-কালোরা। উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার মুজাফফরভের দারুণ এক ফ্রি কিকে রহমতগঞ্জকে ১-০ গোলে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তারা। ২০১৪ সালের পর এবারই দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দলটি শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে পৌঁছে গেছে।
শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে মোহামেডানের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করার চেষ্টা করেছে রহমতগঞ্জ। তবে গোলের কয়েকটি সুযোগ পেয়েছে সাদা-কালোরাই বেশি। সেই সুযোগ থেকে ইমানুয়েল সানডে কিংবা দিয়াবাতের কেউই দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি। অন্যদিকে হেড কোচ ছাড়া খেলতে নামা রহমতগঞ্জের রাকিবের শট বাঁচিয়েছেন মোহাম্মদ নাইম।
ম্যাচ ঘড়ির ৪০ মিনিটে আরিফ হোসেনের ডান প্রান্তের ক্রসে দিয়াবাতের হেড পোস্টের পাশ দিয়ে যায়। এটাই ছিল সবচেয়ে ভালো সুযোগ।
বলতে গেলে, বিরতির পর আলফাজ আহমেদের দলের একচেটিয়া দাপট। তবে দলের বড় তারকা দিয়াবাতে ছিলেন নিজের ছায়া হয়েই।
৫৬ মিনিটে জাফর ইকবালের ক্রসে ফাঁকায় থেকে দিয়াবাতের লাফিয়ে উঠা হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭২ মিনিটে মোহামেডান এগিয়ে যায়। বক্সের কিছুটা বাইরে ফ্রি কিক পায় সাদা-কালোরা। যথারীতি মুজাফফরভ ফ্রি কিক নিতে এসে দারুণ এক নিচু শটে জাল কাঁপাতে সময় নেননি। গোলকিপার মোহাম্মদ নাইম বলের লাইনে ঝাঁপালেও কিছুই করতে পারেননি।
৮৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারতো। মোহাম্মদ রকির ক্রসে দিয়াবাতে বল রিসিভ করে দেখেশুনে লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। বক্সের ভেতরে থেকে ফাঁকায় তার নেওয়া শট পোস্টের অল্প দূর দিয়ে যায়।
শেষ দিকে রহমতগঞ্জ সুযোগ পেয়েও সমতায় ফিরতে পারেনি। শেষ বাঁশি বাজার পরই তাদের খেলোয়াড়রা রেফারি বিটুরাজকে ঘিরে ধরেছিলেন। অন্যদিকে মোহামেডানের গুটিকয়েক সমর্থক ও সাইড বেঞ্চের খেলোয়াড়রা সাদা-কালো পতাকা হাতে মাঠে ঢুকে উৎসব করেছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন দলের একমাত্র গোলদাতা মুজাফফরভকে।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর মোহামেডানের ট্রফি জয়ের মিশনে বাধা কে হবেন তা একটু পরই ঠিক হবে।
আপনার মতামত লিখুন :