স্পোর্টস ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল মানে দুর্ভাগ্য আর স্নায়ুর কাছে পরাজয়ের অপর নাম। চারবারই এসব কারণে ব্যর্থ হয়েছে। এই দলটাই আবার আরেকটি আসরের সেমিফাইনালে। যাদের প্রতিপক্ষ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। যাদের বিপক্ষে ১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হার ক্রিকেটীয় লোকগাথার অংশ হয়ে আছে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে এবার কি ভাগ্য বদলাবে দক্ষিণ আফ্রিকার? দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ম্যাচটা শুরু হবে বেলা আড়াইটায়।
প্রোটিয়াদের জন্য দুর্ভাগ্য যে এবারের আসরেও তাদের তাড়া করেছে ১৯৯২ সালের ভূত! সেবারের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বৃষ্টিই ইংল্যান্ডের কাছে তাদের পরাজয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এবারও কলকাতায় চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি।
অবশ্য বৃষ্টি আসলে এবার সেটি প্রোটিয়াদের জন্যই সহায়ক হতে পারে এক অর্থে। প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী রিজার্ভ ডেতেও ফলাফল না এলে লিগ পর্বের দুইয়ে থাকার সুবাদে ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ হবে তারা।
প্রোটিয়াদের জন্য প্রেরণার হতে পারে লিগ পর্বে এই অজিদেরকেই তারা ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না অজি দল অষ্টম ফাইনাল খেলতে নামছে। যার ৫টিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫ আসরে জেতা দলটির সাত সদস্যও এই দলটিতে খেলছেন। ফলে এরকম পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হয় সেটা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে আর কে ভালো জানবে? ম্যাচের আগে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের সাহায্য করে যে বিষয় তা হলো অনেকেই এই পরিস্থিতিতে আগে মুখোমুখি হয়েছে। লড়াইয়ের আগে এই বিষয়টি সামনে আসতেই পারে।’
তবে বৃষ্টির কথা ভাবাচ্ছে অজি অধিনায়ককে। তার কথা, ‘আসলে এমন পরিস্থিতিতে ভাবতে হবেই। কিন্তু আবহাওয়ার কথা এলে তখন পরিকল্পনা নিয়ে খুব বেশি দূর যাওয়া যায় না। তার পরেও আশা করবো ৫০ ওভারের ম্যাচ যাতে হয়।’
কখনও সেমিফাইনালের বৈতরণী পার হতে না পারা প্রোটিয়ারা চাপে থাকবে। আর চাপে পড়লে তারা কতটা ভেঙে পড়ে এটা রীতিমত প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা মনে করছেন, ‘অনেকের বিশ্বাস এটাই সেই বছর যেখানে আমরা ফাইনাল খেলবো। দল এবং ব্যক্তি হিসেবে আমিও এর চেয়ে ভালো কিছু চাই না।’
আপনার মতামত লিখুন :