আশ্রয় ডেস্ক
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে তামিম ইকবালের জরুরি বৈঠক ছিল রবিবার। কিন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে ব্যস্ততার কারণে সময় হয়নি। বৈঠক হয়েছে আজ সোমবার। দুপুরের দিকে নাজমুল হাসানের বাসায় বসেছিলেন দুজন। তামিমের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে হয় এই বৈঠক। লম্বা আলোচনা শেষে বেরিয়ে নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, কারও কথার ভিত্তিতে নয়, সমস্যার গভীরে ঢুকে সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি। এদিকে সাবেক অধিনায়ক তামিম বিকাল পাঁচটার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। এখন দেখার অপেক্ষা কী বলেন বাঁহাতি ওপেনার।
এদিকে তামিমের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমকে নাজমুল হাসান বলেছেন, “তামিম দুই তিন দিন আগে থেকেই বলছিল যে ও আসবে। এর আগে শেষ ওর সঙ্গে যখন কথা হয়েছিল, ও বলেছিল ‘আপনি নাকি কিছু জানেন না, তাই আপনাকে আমি অনেক কিছু বলতে চাই।’ আমি বললাম ‘ঠিক আছে।’ আজকে যে ও সব বলে গেছে তা না। কারণ সময় খুব অল্প।’”
কারও কথায় প্রভাবিত হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। নিজে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করবেন, ‘তারপরও তামিম কিছু কথা বললো। এমন একটা সময় বলেছে যখন আমার হাতে একদম সময় নেই। এক মাস পর নির্বাচন। নির্বাচন থেকে এলেই যে সব সমস্যা জানবো ,তা তো না। আমি কারও কথায় কিছু করবো না। আগে আমার নিজের জানতে হবে সমস্যাটা কোথায়। আমি গভীরে ঢুকতে চাই। সবার সঙ্গে কথা বলবো, নিজের সিদ্ধান্তটা নেবো। ওর সঙ্গে কথা হয়েছে, যে সিদ্ধান্ত নেই, বিপিএলের পরে। বিপিএলটা শুরু হলে সব প্লেয়ার, কোচিং স্টাফদের পাবো। সবার সঙ্গে বসে যেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হয় সেই সিদ্ধান্ত নেবো।’
কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা জানতে গভীরে যেমন ঢুকতে চান, ঠিক সেভাবেই নিতে চান সিদ্ধান্ত। তাতে ক্রিকেটের উন্নতি হবে বলেই বিশ্বাস তার, ‘আমি বেশিদিন নাই, এই টার্মটাও আর বেশিদিন নাই। এরপর আর এক বছর আছে। যাওয়ার আগে অবশ্যই আমি টিমটা ঠিক করে যাবো। যা যা করা দরকার এটা আমি করে যাবো। যা যা সিদ্ধান্ত নিতে হয় নেবো। কে পছন্দ করলো না করলো, তাতে কিছু যায় আসে না। ক্রিকেটের স্বার্থে যা যা সিদ্ধান্ত নিতে হয়, আমি নেবো।’
গত নির্বাচনে বোর্ড পরিচালক হতে চাননি নাজমুল হাসান। কেন হতে চাননি এর ব্যাখায় তিনি বলেছেন, ‘আমি ওকে ওই কথাই বলেছি যেটা আমি আপনাদেরকে অনেক আগে বলেছি। এবার আমি বোর্ডে আসতে চাইনি, অনেকেই বলে কোনও চাপ আছে কিনা। আমি বলেছি যে চাপের কারণে নয়। দুটো কারণ- একটা হচ্ছে আমার সময় নেই, দ্বিতীয়টা হচ্ছে যে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেটা মানুষ পছন্দ করবে না। ওখানেই কিন্তু ইঙ্গিতটা ছিল। এখনও তামিমকে আমি সেটাই বলেছি। প্রথম দুই টার্ম দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এখন আমি ছেড়ে দিয়েছি। যাদের দায়িত্ব দিয়েছি তারা করবে। তাদের সমস্যা থাকলে আমি সব সময় সাহায্য করবো।’
আপনার মতামত লিখুন :