ছোট লক্ষ্য দিয়েও কিউইদের কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৯, ২০২৩, ৮:০৯ পূর্বাহ্ন /
ছোট লক্ষ্য দিয়েও কিউইদের কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড-দ্বিতীয় ইনিংসে ২২ ওভারে ৬৯/৬ ( স্যান্টনার ০*, ফিলিপস ৫*; মিচেল ১৯, ব্লান্ডেল ২, ল্যাথাম ২৬, নিকোলস ৩, কনওয়ে ২, উইলিয়ামসন ১১); লক্ষ্য ১৩৭। 

বাংলাদেশ- দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪.৫ ওভারে ১৪৪ ( তাইজুল ১৪*; শরিফুল ৮, জাকির ৫৯, নাঈম ৯, সোহান০, মিরাজ ৩, শাহাদাত ৪, মুশফিক ৯, মুমিনুল ১০, শান্ত ১৫, জয় ২); বাংলাদেশের লিড ১৩৬। 

নিউজিল্যান্ড- প্রথম ইনিংসে ৩৭.১ ওভারে ১৮০/১০ (এজাজ ০*, সাউদি ১৪, ফিলিপস ৮৭, জেমিসন ২০, স্যান্টনার ১, মিচেল ১৮, ব্লান্ডেল ০, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, ল্যাথাম ৪, কনওয়ে ১১);

বাংলাদেশ- প্রথম ইনিংসে ৬৬.২ ওভারে ১৭২/১০ (নাঈম ১৩*, শরিফুল ১০, তাইজুল ৬, মিরাজ ২০, সোহান ৭, দীপু ৩১, মুশফিক ৩৫, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, জয় ১৪, জাকির ৮)

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ড্যারিল মিচেলকে ফিরিয়ে তুলে নিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট। মিরাজের বলে গ্লাভসে লেগে ক্যাচ উঠেছিল মিচেলের। আম্পায়ার শুরুতে সাড়া দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে মিলেছে সাফল্য। মিচেল ১৯ রানে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। 

ব্লান্ডেলকে ফিরিয়ে সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ 

ল্যাথামকে ফেরানোর পর প্রতিরোধ আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের। দ্রুত আউট হয়েছেন টম ব্লান্ডেল। তাকে ২ রানে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন তাইজুল। তাতে ৫১ রানে কিউইদের ৫ উইকেট তুলে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে বাংলাদেশ।   

ল্যাথামকে বিদায় দিয়ে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ 

শুরু থেকেই কিউইদের জুটি গড়তে দেয়নি স্বাগতিক দল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার কৌশলে সফল হয়েছে। তাতে ফেরানো গেছে শুরু থেকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় থাকা ওপেনার টম ল্যাথামকে। মিরাজের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ল্যাথাম ফেরার আগে করেছেন ২৬। একই ওভারের শেষ বলে নতুন নামা ব্লান্ডেলকেও এলবিডাব্লিউতে ফেরানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু আম্পায়ার্স কলের কারণে বেঁচে গেছেন তিনি।      

তৃতীয় উইকেট তুলে কিউইদের চাপে রেখেছে বাংলাদেশ

লক্ষ্যটা ছোট হলেও তৃতীয় উইকেট তুলে কিউইদের চাপে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। কেন উইলিয়ামসনের আউটের পর দ্রুত হেনরি নিকোলসকেও সাজঘরে পাঠিয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন কিউই ব্যাটার। ফেরার আগে করেছেন ৩ রান। অবশ্য আগের ওভারে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থও হয়েছে স্বাগতিকরা। ল্যাথামের বিপক্ষে এলবিডাব্লিউর জোরালো আবেদন করলেও সাফল্য মেলেনি তাতে।   

উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙলেন তাইজুল

পাঁচ রানে শরিফুলের আঘাতে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রথম উইকেট। তার পর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন কেন উইলিয়ামসন ও টম ল্যাথাম। কিন্তু কেন উইলিয়ামসনকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাইজুল। দারুণ এক ডেলিভারিতে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নিয়েছেন বামহাতি স্পিনার। তার বলে এগিয়ে এসে খেলতে যাওয়ায় উইলিয়ামসন স্টাম্পড হয়েছেন। ফেরার আগে ১১ রান করেছেন তিনি।    

লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরেই শরিফুলের আঘাত

লক্ষ্য ছোট হলেও কিউইদের ওপর শুরুতেই চাপ তৈরির চেষ্টায় সফল বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে ওপেনার ডেভন কনওয়েকে এলবিডাব্লিউতে আউট করেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। প্রথম থেকেই এই পেসারের পেসে ভুগছিলেন কনওয়ে। লাঞ্চ বিরতিতে থেকে ফিরে দ্বিতীয় ওভারেই কাটা পড়লেন তিনি। পুরোপুরি পরাস্ত কনওয়ে ২ রানে সাজঘরে ফিরেছেন। 

ছোট পুঁজি নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানে অলআউট করে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। ১৩৭ রানের লক্ষ্যে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪ রান যোগ করেছেন দুই ওপেনার টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে। তবে শরিফুলের দারুণ বোলিং তাদের ভোগান্তিতে ফেলেছিল। সাফল্য আসেনি যদিও। কিউইদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩৩। হাতে আছে ১০ উইকেট। 

কিউইদের ১৩৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল তাতে মোটেও সফল হয়নি তারা। কিউই স্পিনে খেই হারিয়েয়েছে। এক জাকির হাসান ছাড়া কেউ প্রতিরোধ গড়ার মতো ব্যাটিং করতে পারেননি। তার ফিফটি (৫৯) ছোঁয়া ইনিংসেই মূলত বাংলাদেশ কিউইদের ১৩৭ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৪ রানে।

সকালে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মুমিনুল-জাকির জুটি। মুমিনুল আউট হতেই ভেঙে পড়ে প্রতিরোধ। এক প্রান্তে জাকির লড়াই করলেও যোগ্য সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। একে একে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। জাকিরের বিদায়ে দলীয় ১২৮ রানে পড়ে বাংলাদেশের নবম উইকেট। তার পর পুঁজিটা আরও বাড়িয়ে নিতে অবদান রাখেন তাইজুল, শরিফুল। শেষ দিকে কিছু বাউন্ডারি মারাতে লিড ১৩৬ রানে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংসে মূল আঘাতটা হেনেছেন বামহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল। ৫৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৫১ রানে তিনটি নিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। একটি শিকার টিম সাউদির।     

জাকিরকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙলেন প্যাটেল

সঙ্গীরা প্রতিরোধ গড়তে না পারলেও এক জাকির হাসানের ব্যাটেই দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়েছে বাংলাদেশ। নাহলে আরও বিপদ হতে পারতো। তার ব্যাটে লিড একশ ছাড়িয়েছে। কিন্তু ফিফটি তুলে নেওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। তাকে ৫৯ রানে মিচেলের ক্যাচ বানিয়েছেন প্যাটেল। জাকিরের ৮৬ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছয়। 

নাঈমের আউটের পর জাকিরের ফিফটি

ওপেনার জাকির প্রান্ত আগলে থাকলেও যোগ্য সঙ্গী পাননি না কাউকে। একের পর একজনের বিদায়ে পুরোপুরি অরক্ষিত হয়ে পড়ে অপর প্রান্ত। তাতে খেই হারাতে থাকে বাংলাদেশের ইনিংস। মিরাজ-সোহানের পর নাঈমও থিতু হতে পারেননি। তাকে ৯ রানে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ বানিয়েছেন স্যান্টনার। নাঈমের বিদায়ে পড়ে অষ্টম উইকেট। তার পর অবশ্য তৃতীয় টেস্ট ফিফটি তুলে নেন ওপেনার জাকির। তার ব্যাটেই লিড একশ ছাড়াতে পেরেছে।   

প্যাটেলের ওভারে ফিরলেন মিরাজ-সোহান

কিউই স্পিনারদের ঘূর্ণিতে খেই হারিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। চতুর্থ দিন সকালে একে একে ফিরছেন ব্যাটাররা। সর্বশেষ মেহেদী হাসান মিরাজও সফরকারীদের স্পিনের বিপরীতে দাঁড়াতে পারেনি। প্যাটেলের বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ৩ রানে ফিরেছেন। বিপদের সময়ে নতুন নামা নুরুল হাসান সোহানও একই মানসিকতার পরিচয় দিয়ে আউট হয়েছেন একই ওভারে।  ২৪.৩ ওভারে তাকে এলবিডাব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। সোহান রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। চতুর্থ বলে আবারও তাকে লেগ বিফোরে আম্পায়ার আউট দিলে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। সোহান রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। তাতে এক ওভারে দুটি উইকেট হারিয়ে অল্প পুঁজিতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেছে স্বাগতিক দল।    

ব্যর্থ হয়েছেন শাহাদাতও

চতুর্থ দিন লিড বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। সকালের শুরুটা দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে তারা বিপদে পড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার মুমিনুল, মুশফিকের পর শাহাদাত হোসেনও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে শাহাদাত পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছেন। বলের লাইন মিস করায় এলবিডাব্লিউ হয়েছেন তিনি। শাহাদাত রিভিউ নিয়েও রক্ষা পাননি। ৪ রানে ফিরেছেন।   

মুমিনুলের পর দ্রুত ফিরলেন মুশফিকও

মুমিনুলের ফেরার পর জুটি গড়ার প্রয়োজন ছিল অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের। কিন্তু মাত্র ১২ বলই টিকতে পেরেছেন তিনি। স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে ৯ রানে স্লিপে তালুবন্দি হয়েছেন মুশফিক। তাতে দ্রুত দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেছে স্বাগতিক দল। 

মুমিনুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন প্যাটেল

গতকাল ৩০ রানের লিড নেওয়ার পর চতুর্থ দিন দেখার ছিল মুমিনুল-জাকিকের প্রতিরোধ টেকে কতক্ষণ। চতুর্থ দিনে সকালের শুরুটা দারুণভাবেই করেছিলেন তারা। এই জুটিতে লিড ছাড়ায় পঞ্চাশ। জাকির আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেললেও মুমিনুল রয়ে সয়ে খেলছিলেন। কিছুটা খোলসবন্দিও ছিলেন তিনি। ১৫তম ওভারে এজাজ প্যাটেলের বলে বিপদ ডেকে আনেন মুমিনুল। বল থেকে যেরকম বাউন্স আশা করেছিলেন সেরকম পাননি। পুল করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন মুমিনুল। ফেরার আগে তিনি ১৯ বলে করেছেন ১০ রান। মুমিনুল-জাকির জুটিতে যোগ হয়েছে ৩৩ রান।   

দারুণ ব্যাটিংয়ে চতুর্থ দিন শুরু বাংলাদেশের

বৃষ্টিতে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন ভেসে যাওয়ার পর তৃতীয় দিনেও প্রভাব রেখেছিল বৃষ্টি। মিরপুরে বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে ৩২.২ ওভার মাঠে গড়িয়েছে। তার পরেও বাংলাদেশই এগিয়ে ছিল গতকাল। গতকাল পাওয়া ৩০ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিনে খেলতে নেমেছে স্বাগতিকরা। 

গতকাল কিউইরা প্রথম ইনিংসে ৮ রানের লিড নিলে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে প্রথম ওভারে বাংলাদেশ হারায় ওপেনার মাহমুদুল হাসানের উইকেট। দলীয় ৩ রানে ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। তার পর ৩৮ রানে বিদায় নেন শান্ত। আরেক ওপেনার জাকির অবশ্য প্রান্ত আগলে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলছেন। সঙ্গী হয়েছেন মুমিনুল।