আশ্রয় ডেস্ক
ঠিক এক বছর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। সাকিব-তামিমকে ছাড়াই ঐতিহাসিক টেস্ট জিতেছিল তারা। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টেও নেই তামিম-সাকিব। ইনজুরির কারণে খেলবেন না এবাদত হোসেন-তাসকিন আহমেদ। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছেন লিটন দাস। তাদের অনুপস্থিতি নিশ্চিতভাবেই শূন্যতা তৈরি করছে। যদিও চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নতুন এই দলটি নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চান।
রবিবার গণমাধ্যমকে শ্রীলঙ্কান কোচ বলেছেন, ‘আমাদের তাসকিন, এবাদতও নেই। এতজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে না পাওয়া যে কোনও দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং, বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য। কারণ তারা সবাই তিন সংস্করণের ক্রিকেটই খেলে। কেউ ১৫ বছর ধরে খেলছে, আবার কেউ খেলছে ১০ বছর ধরে। এজন্য বলছিলাম একটা দিক থেকে আমরা সামনে তাকাতে পারি। তরুণরা সেটা করতে পারে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার এটাই সঠিক সময়। কারণ, কয়েকজন ক্রিকেটার লম্বা সময় ধরে খেলছে। তারা সারাজীবন খেলবে না। এটা অবশ্য অনেকগুলো কারণে ঘটেছে। আমার মনে হয় এটা রোমাঞ্চকর। নিজেদের মেলে ধরতে তরুণদের জন্য ভালো সুযোগও।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশ দল যখন বিশ্বকাপ খেলতে ব্যস্ত, ওই সময় টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা খেলেছেন জাতীয় লিগ। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রধান কোচ বলেছেন, ‘যারা বিশ্বকাপ খেলেছে তাদের জন্য আমরা এনসিএলকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। প্রস্তুতির জন্য তারা এনসিএলের শেষ রাউন্ড খেলেছে। বেশিরভাগ ব্যাটারই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। বাকিদের মাঝে বেশিরভাগই এনসিএল খেলছিল। দেখুন, এটা দেখতে প্রায় নতুন বাংলাদেশের মতো। জোর করে এমন কিছু করা হয়নি। কিছু ইনজুরির কারণে এমনটা হয়েছে। আমরা যতটা পারি ততটা প্রস্তুত। সত্যি বলতে টেস্ট সিরিজের জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’
২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে প্রথমবারের মতো খেলে বাংলাদেশ। এতদিন পর মঙ্গলবার সেই ভেন্যুতে দ্বিতীয়বার টেস্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই সিলেটের উইকেট নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় হাথুরুসিংহে, ‘আমরা এখানে খুব বেশি টেস্ট ম্যাচও খেলিনি। একটি টেস্ট খেলেছি, যদি আমি ভুল না করে থাকি। আমরা জানি না, উইকেট কেমন আচরণ করবে। কারণ, আমাদের এখানে খেলার ইতিহাস নেই। এই মুহূর্তে আমাদের জন্য সবই অজানা।’
আপনার মতামত লিখুন :