ব্যাটারদের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিলেন মিরাজ-তাইজুল


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৬, ২০২৩, ১২:০৯ অপরাহ্ন /
ব্যাটারদের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিলেন মিরাজ-তাইজুল

আশ্রয় ডেস্ক

প্রথম দিনের খেলা শেষে, সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড- প্রথম ইনিংসে ১২.৪ ওভারে ৫৫/৫ (মিচেল ১২*, ফিলিপস ৫*, ব্লান্ডেল ০, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, ল্যাথাম ৪, কনওয়ে ১১); নিউজিল্যান্ড ১১৭ রানে পিছিয়ে।

বাংলাদেশ- প্রথম ইনিংসে ৬৬.২ ওভারে ১৭২/১০ (নাঈম ১৩*, শরিফুল ১০, তাইজুল ৬, মিরাজ ২০, সোহান ৭, দীপু ৩১, মুশফিক ৩৫, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, জয় ১৪, জাকির ৮)

আলোকস্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধঘণ্টা আগেই প্রথম দিনের খেলা শেষ করতে বাধ্য হলেন আম্পায়াররা। পুরো দিনজুড়ে চললো স্পিনারদের রাজত্ব। ১৫ উইকেটের মধ্যে ১৩টি পেয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ শেষ সেশনের শুরুতে ১৭২ রানে অলআউট হয়। জবাবে ব্ল্যাকক্যাপরা ৫ উইকেট হারায় ৪৬ রানে।

মুশফিকুর রহিম অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডে আউট হওয়ার পর শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিক ব্যাটাররা। 

মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যর্থতা পুষিয়ে দেন ৫ উইকেট নিয়ে। দিন শেষে নিউজিল্যান্ড করেছে ৫৫ রান। মিরাজ তিনটি উইকেট নেন, বাকি দুটি পান তাইজুল।

আগেভাগে দিন শেষ হওয়ায় দ্বিতীয় দিনের খেলা একটু তাড়াতাড়ি শুরু হবে।

মিরাজের জোড়া আঘাতে পঞ্চাশের আগেই ৫ উইকেট পেলো বাংলাদেশ

মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের স্পিনে দাঁড়াতে পারছে না নিউজিল্যান্ড। ১২তম ওভারে তিন বলের মধ্যে জোড়া উইকেট পেয়েছেন মিরাজ। ১৩ রানে জীবন পাওয়া কেন উইলিয়ামসনকে আর কোনও রান যোগ করতে দেননি, শর্ট লেগে শাহাদাত হোসেন দীপু এক হাতের দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। একই ওভারে মিরাজ টম ব্লান্ডেলকে এলবিডব্লিউ করেন। শূন্যতে বিদায় নেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটার। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারালো কিউইরা। আলোকস্বল্পতায় আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে খেলা। 

তাইজুলের দ্বিতীয় উইকেটের পর ক্যাচ মিসের হতাশা

বাংলাদেশকে ১৭২ রানে গুটিয়ে দিলেও স্বস্তিতে নেই নিউজিল্যান্ড। পাল্টা জবাব দিচ্ছেন স্বাগতিক স্পিনাররা। তাইজুল ইসলাম পরপর দুই ওভারে উইকেট পেয়েছেন। 

নবম ওভারে মিড অনে শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত ক্যাচে মাঠ ছেড়েছেন হেনরি নিকোলস, ১০ বলে ১ রান করেন তিনি। ৩০ রানে ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে উইকেট হারাতে পারতেন কেন উইলিয়ামসন। নাজমুল হোসেন শান্তর আঙুল ছুঁয়ে বল বেরিয়ে যায়। ১৩ রানে জীবন পান উইলিয়ামসন।

৬ বলে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেলো বাংলাদেশ

দারুণ শুরু হলো বাংলাদেশের। ৬ বলের মধ্যে দুই উইকেটের দেখা পেলো স্বাগতিকরা। ২ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার বিদায় নিলেন। ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম সতর্ক ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ড চালু রেখেছিলেন। ষষ্ঠ ওভারে ভেঙে যায় তাদের জুটি। মেহেদী হাসান মিরাজ বোল্ড করেন কনওয়েকে। ১৪ বলে ১১ রান করেন ‍নিউজিল্যান্ড ওপেনার। ২০ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। পরের ওভারে তাইজুল ইসলামের বল ল্যাথামের ব্যাট ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। ক্যাচটা নিচু হওয়ায় আম্পায়ার রড টাকার নিশ্চিত হতে পারেননি। পল রেইফেলের সঙ্গে আলোচনা করে থার্ড আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেন। আম্পায়ার রিভিউয়ে নিউজিল্যান্ড ওপেনারকে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ আসে। ২২ রানে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। 

১৭২ রানে অলআউট বাংলাদেশ

সিলেটের রূপ ঢাকায় দেখাতে পারলো না বাংলাদেশ। অথচ বড় রান করার উদ্দেশ্যে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল তারা। টিম সাউদির পেস শেষে পাঁচ ওভার পর স্পিনারদের আবির্ভাব। তারপর শুরু হয় ঘূর্ণিজাদু। ৪৭ রানের মধ্যে এজাজ প্যাটেল ও মিচেল স্যান্টনার দুটি করে উইকেট তুলে নেন। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৪ উইকেটে ৮০ রানে প্রথম সেশন শেষ করে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয় সেশনে গ্লেন ফিলিপস জাদু দেখান। নিজের জন্মদিনে এই সেশনে দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি। লাঞ্চ ব্রেক থেকে চা বিরতি পর্যন্ত মাত্র ৬৯ রান করে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চা বিরতিতে তাদের স্কোর ৮ উইকেটে ১৪৯ রান। বেশিক্ষণ টিকিয়ে রাখতে পারেনি শেষ ২ উইকেট। আর ২৩ রান যোগ করতে পারে স্বাগতিকরা। স্পিনারদের জয়জয়কারের দিনে একমাত্র উইকেট নেন পেসার সাউদি। ৬৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ১৭২ রানে অলআউট বাংলাদেশ।

তিনটি করে উইকেট নেন ফিলিপস ও স্যান্টনার। দুটি উইকেট পান এজাজ। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মুশফিক। 

চা বিরতির পর আরেকটি উইকেট হারালো বাংলাদেশ

দুই উইকেট হাতে রেখে শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। চা বিরতির পর পঞ্চম ওভারেই পড়ে গেলো আরেকটি উইকেট। ৬ রান করে গ্লেন ফিলিপসের তৃতীয় শিকার হলেন তাইজুল ইসলাম। রিভিউ নিয়েও আম্পায়ারের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেননি তিনি। ১৫৪ রানে ৯ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনেও ভুগলো বাংলাদেশ

প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও হতাশ করলো বাংলাদেশ। এই সেশনেও চার উইকেট হারিয়েছে তারা, সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৬৯ রান। চা বিরতির আগের ওভারে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

লাঞ্চ ব্রেকের পর মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দীপুর জুটিতে বাংলাদেশের স্কোর ১০০ ছাড়ায়। তারপরই নামে ধস। বল হাত দিয়ে ঠেকিয়ে আউট হন মুশফিক। দীপু ও সোহানকে ফেরান গ্লেন ফিলিপস। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে মিচেল স্যান্টনার ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজকে। ৪১ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৫৮ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৯ রান।

স্যান্টনারের তৃতীয় শিকার মিরাজ

নিউজিল্যান্ডের স্পিন বোলিংয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ। দেড়শ হওয়ার আগেই ৮ ব্যাটারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশনে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নিলেন মিচেল স্যান্টনার। মেহেদী হাসান মিরাজকে ২০ রানে ড্যারিল মিচেলের ক্যাচ বানান তিনি। দলীয় ১৪৫ রানে নিজের তৃতীয় উইকেট নিলেন স্যান্টনার।

বার্থডে বয় ফিলিপসকে উইকেট দিলেন সোহান

নিজের জন্মদিনে বাংলাদেশের দুটি উইকেট তুলে নিলেন গ্লেন ফিলিপস। শাহাদাত হোসেন দীপুর প্রতিরোধ ভাঙার পর উইকেটকিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানকে আউট করেছেন নিউজিল্যান্ড স্পিনার। বাজে শট খেলে মিড অনে মিচেল স্যান্টনারকে সহজ ক্যাচ দেন বাংলাদেশি ব্যাটার। ১৬ বলে ৭ রান করেন সোহান। ১৩৫ রানে সাত উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

দীপুকে ফেরালেন বার্থডে বয় ফিলিপস

মুশফিকুর রহিমের অদ্ভুতুড়ে আউটের পর বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও শাহাদাত হোসেন দীপু। ১০৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দুজনের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু জুটিটা ১৯ রানের বেশি হতে পারেনি। দীপু পেছনে ক্যাচ দেন টম ব্লান্ডেলকে। গ্লেন ফিলিপস তার ২৭তম জন্মদিনে প্রথম উইকেট পেলেন। ১০২ বলে দুটি চারে ৩১ রান করে বাংলাদেশি ব্যাটার।১২৩ রানে ৬ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

হাত দিয়ে বল আটকে আউট মুশফিক

প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে হাত দিয়ে বল আটকে আউট হলেন মুশফিকুর রহিম, যাকে বলা হয় ‘হ্যান্ডলিং দ্য বল’ আউট। ক্রিকেটীয় কানুনে এটি অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড। শাহাদাত হোসেন দীপুর সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে বাংলাদেশকে স্বস্তির জায়গায় রেখেছিলেন মুশফিক। কিন্তু হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে। ৮৩ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক। ভেঙে গেলো ৫৭ রানের জুটি। ১০৪ রানে ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

৪১তম ওভারের চতুর্থ বলটি ডিফেন্ড করেন মুশফিক। বল মাটিতে লাফিয়ে পেছনে ছুটছিল, তবে অফস্টাম্পের দিকে নয়। কিন্তু কী মনে করে যেন ডান হাত দিয়ে বল ঠেকালেন বাংলাদেশি ব্যাটার। নিউজিল্যান্ড অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডের আবেদন করে। থার্ড আম্পায়ার রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত জানান। নিজের মনকে যেন বিশ্বাস করাতে পারছিলেন না মুশফিক। মাথা নিচু করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

টেস্ট ক্রিকেটে এভাবে আউট হওয়া প্রথম ব্যাটার মুশফিক নয়, তার আগেও সাত ব্যাটার এমন করে বিদায় নেন।

মুশফিকের চারে একশ ছাড়ালো বাংলাদেশ

৪ উইকেটে ৮০ রানে বাংলাদেশ লাঞ্চ ব্রেকের পর খেলতে নামে। দ্বিতীয় সেশনের দশম ওভারে বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম ছয় মারেন মুশফিকুর রহিম। পরের ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে তিনি দলীয় স্কোর একশ পার করেন।

প্রথম সেশন নিজেদের করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ

সিলেটের মতো ঢাকাতেও টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিতে পারেনি তারা। টপ অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। জাকির হাসানকে মিচেল স্যান্টনার ফেরানোর পর এজাজ প্যাটেল টানা দুই ওভারে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হককে প্যাভিলিয়নে পাঠান। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত ফিরে যান স্যান্টনারের বলে। ৪৭ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর লাঞ্চের আগে দাঁত কামড়ে পড়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দীপু। দুজনের ৩৩ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৮০ রন। ১৮ রানে ‍মুশফিক, ১৪ রানে দীপু অপরাজিত আছেন।

মুশফিক-দীপুর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

বিনা উইকেটে ২৯ রান করা বাংলাদেশ ৪৭ রানেই হারায় চার উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার ও এজাজ প্যাটেল। মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দীপুর জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

পঞ্চাশের আগেই ৪ উইকেট হারালো বাংলাদেশ

ঢাকায় স্পিন বোলিংয়ে বাংলাদেশ বিপদে পড়েছে। দুই প্রান্ত থেকে মিচেল স্যান্টনার ও এজাজ প্যাটেল ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। ১০ বলে মুমিনুল হক মাত্র ৫ রান করে এজাজের শিকার হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড স্পিনার টানা দুই ওভারে উইকেট পেয়েছেন। ৪১ রানে ৩ উইকেট হারালো স্বাগতিকরা। আর ছয় রান যোগ হতে নাজমুল হোসেন শান্তও উইকেট হারান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন স্যান্টনার। রিভিউ নিয়েও থাকতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৪ বলে ৯ রানে বিদায় নেন তিনি। ৪৭ রানে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। পরের চার ওভারে কোনও রানই তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।

৫ বলের মধ্যে দুই ওপেনার প্যাভিলিয়নে

বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারালো ২৯ রানে। ১১তম ওভারে মিচেল স্যান্টনার ভেঙে দিলেন উদ্বোধনী জুটি। ৮ রান করে মিড অনে কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচ হন জাকির হাসান। ২৪ বলের ইনিংসে ছিল ১ চার। ৫ বলের মধ্যে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। পরের ওভারে প্রথম বলে তাকে টম ল্যাথামের ক্যাচ বানান এজাজ প্যাটেল। ৪০ বলে ২টি চারে ১৪ রান করেন জয়। 

টস জয়ী বাংলাদেশের সতর্ক ব্যাটিং

ঢাকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। সিলেট টেস্ট জয়ের একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে তারা। আর ইশ সোধির বদলে মিচেল স্যান্টনারকে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক স্বাগতিকরা।

সিলেটে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই সিরিজ জয়ের আনন্দে মাততে পারবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আর যদি জিততে পারে, তাহলে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ দিতে পারবে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে নয়টায় ম্যাচটি শুরু হবে, সরাসরি সম্প্রচার করছে গাজী টেলিভিশন ও টি স্পোর্টস।

ক্রিকেটের লম্বা ফরম্যাটে প্রায় ২৩ বছর পার করে ফেলেছে বাংলাদেশ। এই দীর্ঘ সময়ে ক্রিকেটের এই অভিজাত সংস্করণে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছে তারা। এর মধ্যে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হলেও কিছু জয় বাংলাদেশকে দিয়েছে স্বস্তিও। যেমন গত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ রানের বিশাল জয়। ১৩৯ টেস্ট খেলা বাংলাদেশের কেবল ১৯তম জয় এটি। তবে যেভাবে এসেছে তা প্রশংসা পাওয়ার মতোই। সিলেটের মতো ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে পারলে ঢাকাতে এমন ফল সম্ভব।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটকিপার), নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম।

নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড: টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, হেনরি নিকোলস, ড্যারিল মিচেল, টম ব্লান্ডেল (উইকেটকিপার), গ্লেন ফিলিপস, মিচেল স্যান্টনার, কাইল জেমিসন, টিম সাউদি (অধিনায়ক), এজাজ প্যাটেল।