শরীরে তীব্র ব্যথা নিয়েও খেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাক্সওয়েল


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৮, ২০২৩, ৮:০৫ পূর্বাহ্ন /
শরীরে তীব্র ব্যথা নিয়েও খেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাক্সওয়েল

স্পোর্টস ডেস্ক

ক্রিকেট মাঠে ব্যাটারের বীরত্ব কোথায় সেটা নিজ হাতেই দেখিয়ে দিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে থেকেও এক হাতে নিজেই অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। উপহার দিয়েছেন ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ইনিংস। অবশ্য তার ২০১* রানের অবিস্মরণীয় ইনিংসটা এমনি এমনি আসেনি। চরম মূল্য দিতে হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ খেলার কারণে শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাকে। দুই পায়ে ভর দিয়ে খেলতেও কষ্ট হচ্ছিল তার। ফলে অনেক সময় সিঙ্গেল না নিয়ে বাউন্ডারিতে ভরসা করেছেন তিনি।   

শেষ দিকে তো মাঠে ফিজিওর দ্বারস্থও হতে হয়েছে। যখন আর ৫৫ রান প্রয়োজন। শরীর ছেড়ে দেওয়ায় তখন একবার ফিজিও নিক জোনসের কাছে আহত অবসর নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। তখন অ্যাডাম জাম্পাকে ক্রিজে আসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু সেমিফাইনাল ভাবনায় শেষ পর্যন্ত কষ্ট সহ্য করেও খেলে গেছেন তিনি। ৭ উইকেটে ৯১ থেকে ইতিহাসের সেরা রান (২৯২ রান) চেজের জন্ম দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে ম্যাক্সওয়েল অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াবে বলেছেন, ‘দুই পায়ে ক্র্যাম্প করছিল। একটা সময় বাম হ্যামস্ট্রিংয়েও ক্র্যাম্প করলো। সমস্যা হচ্ছিল পিঠেও। তখন পুরো শরীরে তীব্র ব্যথা করছিল।’

ওই সময়ই জোন্স তাকে রিটায়ার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যাতে শুশ্রূষা নিতে পারেন। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল যখন জানতে পারেন, সেবা নেওয়ার পর সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামাটা তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তখনই সেই চিন্তা বাদ দেন, ‘চলে আসার কথা হচ্ছিল তখন। যাতে আমার পিঠে ও দুই পায়ে শুশ্রূষা দেওয়া যায়। কিন্তু জন্স জানালো, এরপর সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামাটা আমার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।’

তার পরই তিনি যোগ করে বলেছেন, ‘তার পর প্রান্ত ধরে ধাকার পরিকল্পনা নিয়ে থেকে যাওয়ার চিন্তা করি। যখন সহজ সিঙ্গেল হবে তখনই প্রান্ত বদল করার পরিকল্পনা নেই।’

তীব্র কষ্ট সহ্য করেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস খেলেছেন ম্যাক্সওয়েল। অষ্টম উইকেটে প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ২০২ রানের পার্টনারশিপ করেছেন। যেখানে অধিনায়ক কামিন্সের অবদান মাত্র ১২। কামিন্স নিজেই সতীর্থের এই ইনিংসে ওয়ানডের সেরা ইনিংস বলেছেন।