আশ্রয় ডেস্ক
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। মেলবোর্নে তাদের গোলের মালা পরিয়ে জিতেছে ৭-০ গোলে। অথচ বাংলাদেশ লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমন বড় ব্যবধানে হারের দৃশ্য ছিল ভীষণ দৃষ্টিকটূ। বাংলাদেশ এই বছর যেভাবে দারুণ ফুটবল খেলেছে তাতে বিষয়টা চোখে লাগছে ভীষণ। সকারুসদের বিপক্ষে অন্তত সম্মানজনক হার প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু ১৫৬ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে বড় হারের পর বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা স্বীকার করেছেন, নিজেদের ব্যর্থতা।
তবে এই ফল সামনের দিকে ম্যাচে সেভাবে প্রভাব ফেলবে না বলে বিশ্বাস স্প্যানিশ কোচের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেছেন, ‘এত গোল…এই পরিস্থিতির পরও আমি মনে করে দলের মানসিকতা ইতিবাচক। আমার মনে হয় না, এই ফল প্রভাব ফেলবে (সামনের পথচলায়)।’
বিশাল ব্যবধানে হারটা কাবরেরা নিজেও মেনে নিতে পারেননি। তার ওপর ব্যবধানটা সাত গোলে হবে সেটাও ছিল অপ্রত্যাশিত, ‘আসলেই এটা অনেক অনেক বেশি ছিল। সত্যি বলতে এতটা পার্থক্য আশা করিনি। ম্যাচটা আরেকটু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আশা করেছিলাম। পরিস্থিতির বিবেচনায় আশা করেছিলাম আমাদের ফরোয়ার্ডরা অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণে ঢুকতে পারবে, সম্ভবত প্রথমার্ধে এক-দুবার গিয়েছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডাররা আমাদের জায়গা দেয়নি। অস্ট্রেলিয়া শারীরিকভাবে এগিয়ে ছিল। ওরা ম্যাচে পুরোপুরি আধিপত্য করেছে।’
ম্যাচ নিয়ে হতাশার কথা শোনা গেছে তার কণ্ঠে, ‘খুবই কঠিন ম্যাচ, খুবই কঠিন দিন, বিশেষ করে ছেলেদের জন্য। বিশেষ করে প্রথমার্ধ…আমরা আরেকটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলাম। আমাদের মতো করে খেলতে পারিনি। সবদিক থেকেই অস্ট্রেলিয়া আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। ম্যাচটা খেলোয়াড়দের জন্য ছিল বেশ কঠিন।’
তার পরেও শিষ্যদের পাশে আছেন কাবরেরা, ‘ম্যাচের ফল ভুলে গিয়ে নিজেদের খেলাটা খেলতে হতো, কিছুটা সময় সম্ভবত আমরা পেরেছি। শারীরিক দিক থেকে তো বটেই, টেকনিক্যালিও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের পার্থক্য বিশাল। যাই হোক, ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি গর্বিত। এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। দারুণ খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অভিনন্দন। এখন আমরা পরবর্তী চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায়।’ বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ২১ নভেম্বর লেবাননের বিপক্ষে ঘরের মাঠে।
আপনার মতামত লিখুন :