স্পোর্টস ডেস্ক
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিরোধী হিসেবে সুপার লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফিফা ও উয়েফার নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে ভেস্তে যেতে বসে সেই পরিকল্পনা। কিন্তু ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস আগ্রহী ক্লাবগুলোকে ফিফা ও উয়েফার এই বাধা দেওয়াকে বেআইনি হিসেবে রায় দিয়েছে।
সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ ও এর পৃষ্ঠপোষণাকারী এ২২ স্পোর্টস যুক্তি উপস্থাপন করেছিল, এই প্রতিযোগিতা ঘিরে উয়েফার নিষেধাজ্ঞা এবং অংশ নিতে যাওয়া ক্লাবগুলোকে শাস্তির হুমকি দেওয়া ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত আইন অনুযায়ী বেআইনি। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ফিফা ও উয়েফা এর মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।
প্রকল্পটি ঘোষণা করা হয়েছিল ২০২১ সালের এপ্রিল। বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস জানিয়েছে, যেকোনও ফুটবল প্রতিযোগিতায় ফিফা ও উয়েফার অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে খেলোয়াড় অংশ নিলে তাদের নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বেআইনি।’
সেই রায়ে অবশ্য এটাও পরিষ্কার করা হয়েছে, তার মানে এই নয় যে এই ধরনের বিদ্রোহী কোনও লিগকে অবশ্যই অনুমোদন দিতে হবে। এই রায়টা মূলত ফিফা ও উয়েফার নিয়ম সম্পর্কিত। কোনও সুনির্দিষ্ট প্রজেক্ট কেন্দ্র করে নয়।
তার পরেও এই রায়কে বিজয় হিসেবে দেখছে বিদ্রোহী লিগের পৃষ্ঠপোষণাকারী এ-২২ স্পোর্টস। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী বার্নড রেইচার্ট বলেছেন, ‘আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার আদায়ে বিজয়ী হয়েছি। উয়েফার একচেটিয়া আধিপত্য শেষ। এখন ফুটবল মুক্ত। ক্লাবগুলো এখন আর কোনও ধরনের হুমকি শাস্তি ভোগ করবে না। এখন তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’
এদিকে, আদালতের রায় পেয়েই নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ। ৬৪ ক্লাব নিয়ে নতুন প্রতিযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। যা অনুষ্ঠিত হবে তিনটি স্তরে। আর মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বদলে প্রস্তাবিত প্রতিযোগিতায় রাখা হয়েছে দুই স্তর। দল থাকবে ৩২টি।
আপনার মতামত লিখুন :