স্পোর্টস ডেস্ক
ভারতের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। যার পূর্ণ সুবিধা নিতে চাইবে স্বাগতিক দল। কিন্তু অঙ্গীকার ভাঙার মতো কাণ্ড করবে সেটা হয়তো প্রত্যাশিত ছিল না। সেটাই হয়েছে বলে দাবি ডেইলি মেইলের। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পূর্ব নির্ধারিত নতুন পিচ বাদ দিয়ে ভারতের স্পিনারদের সুবিধা পাইয়ে দিতে পুরোনো পিচে প্রথম সেমিফাইনালে খেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ দুপুর আড়াইটায় হবে সেই ম্যাচ।
ইএসপিনক্রিকইনফোর খবরেও বলা হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ৭ নম্বর পিচে খেলার কথা। যা মূলত নতুন। লিগ পর্বে পিচটায় কোনও ম্যাচ হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে ৬ নম্বর পিচে খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে পিচটায় আগে হয়েছে বিশ্বকপের দুটি ম্যাচ। যার একটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২৯ রানের বিশাল জয় পেয়েছে। আরেকটিতে ভারত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতেছে ৩০২ রানের ব্যবধানে।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, পূর্ব পরিকল্পনার পরিবর্তন হওয়ায় আইসিসির স্বাধীন পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন বিষয়টি জানতে পেরে ভীষণ হতাশ হয়েছেন।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী ফাঁস হওয়া ইমেইলে অ্যাটকিনসন অনুমান করেছেন, পিচ পরিবর্তন করা হয়েছে ফাইনালেও। যেখানে আরও বেশি স্পিন ধরবে। অ্যাটকিনসন ইমেইলে বলেছেন, ‘প্রথমবার এমন বিশ্বকাপ ফাইনাল হবে যেখানে টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা স্বাগতিক দেশের ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুসারে পিচ বেছে নেওয়া হয়েছে।’
অবশ্য ক্রিকইনফোর তথ্য অনুযায়ী, নকআউটের পিচ নতুন হবে নাকি ব্যবহৃত; সে বিষয়ে আইসিসির কোনও ধরনের শর্ত নেই। শুধু পিচ ও আউটফিল্ড নিয়ে বলা হয়েছে, ‘এটা আশা করা যায় ম্যাচ আয়োজনের জন্য যেসব ভেন্যু বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটা যেন সম্ভাব্য সেরা পিচ ও আউটফিল্ড কন্ডিশনে উপস্থাপন করা হয়।’
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনালই খেলা হয়েছে নতুন পিচে। কিন্তু গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটি সেমিফাইনালে ব্যবহৃত পিচে খেলা হয়েছে। একটি ছিল অ্যাডিলেড ওভাল আরেকটি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড।
আপনার মতামত লিখুন :