১০৪ রানের লিড নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৩০, ২০২৩, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন /
১০৪ রানের লিড নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রথম টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ ওভারে ১১১/২, লিড ১০৪ (মুমিনুল ৩৮*, শান্ত ৪৮*; জাকির ১৭, জয় ৮)  

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৮৫.১ ওভারে ৩১০ (জয় ৮৬, শান্ত ৩৭, মুমিনুল ৩৭, সোহান ২৯)

নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ১০১.৫ ওভারে ৩১৭ (এজাজ প্যাটেল ১*; ল্যাথাম ২১, কনওয়ে ১২, হেনরি নিকোলস ১৯, ড্যারিল মিচেল ৪১, টম ব্লান্ডেল ৬, গ্লেন ফিলিপস ৪২, কেন উইলিয়ামসন ১০৪, ইশ সোধি ০, কাইল জেমিসন ২৩, টিম সাউদি ৩৫) 

লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পর পর দুই ওভারে হারায় দুই ওপেনারকে। তার পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে চাপ কাটাতে অবদান রাখেন মুমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে তাদের ৮৫ রানের জুটিতে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছে স্বাগতিক দল। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ দুই উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১১১ রান। লিড দাঁড়িয়েছে ১০৪। এই সেশনে যোগ হয়েছে ৯২ রান।      

পর পর দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

প্রথম দশ ওভার নির্বিঘ্নেই পার করেছিল বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতিতে থেকে ফিরতেই পর পর দুই ওভারে উইকেট হারিয়ে চাপে রয়েছে স্বাগতিকরা। ১২.১ ওভারে শুরুতে এজাজ প্যাটেলের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হন জাকির। কিউই স্পিনারের ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসের মতো পরাস্ত হয়েছেন তিনি। তাতে ২৩ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। জাকির আউট হয়েছেন ১৭ রানে। পরের ওভারে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার জন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। 

তখন স্ট্রাইকে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার স্ট্রেইট ড্রাইভে হাত স্পর্শ করেছিলেন সাউদি। সেই বলটাই নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্পে আঘাত করে। তখন ক্রিজের বাইরে থাকায় রান আউট হন জয়। তাতে ৮ রানে ফিরেছেন এই ওপেনার। মুহূর্তেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।       

১২ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চ ব্রেকে বাংলাদেশ

তৃতীয় দিনের সকালের শুরুটা মনমতো হয়নি বাংলাদেশের। তবে নিউজিল্যান্ড লিড নিলেও সেটা বেশি হতে দেয়নি তারা। ৭ রানে এগিয়ে থেকে সফরকারী দল প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে। তার পর লাঞ্চ ব্রেকের আগে দ্বিতীয় ইনিংসে নির্বিঘ্নে দশ ওভার পার করেছে স্বাগতিক দল। প্রথম সেশনের শেষ দিকে দুই ওপেনারে ভর করে পেয়েছে ১২ রানের লিড। স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ১৯।       

মুমিনুলের ঘূর্ণিতে ৩১৭ রানে থামলো নিউজিল্যান্ড

তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশ যে লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল সেটা পূরণ হয়নি। নবম উইকেটে সাউদি-কাইল জেমিসন মিলে ঘণ্টা খানেকের বেশি প্রতিরোধ গড়ে তাদের হতাশ করেছেন। পঞ্চাশ ছাড়ানো এই জুটিতেই লিড পেয়েছে কিউই দল। যদিও তারা লিডের পথে বেশি দূর যেতে পারেনি মুমিনুলের স্পিন ভেলকির কারণে। ১০২তম ওভারে তার জোড়া আঘাতে ৩১৭ রানে শেষ হয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।  

প্রথমে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো জেমিসন-সাউদি জুটি ভাঙেন মুমিনুল। প্রয়োজনের সময় এই বামহাতির স্পিন ভেলকি কাজে দিয়েছে আবার। লেগ বিফোরে তিনি জেমিসনকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন। তাতে ভেঙেছে ৫২ রানের জুটি। জেমিসন ২৩ রানে আউট হয়েছেন। তিন বল বিরতি দিয়ে তার পর সাউদিকে বোল্ড করেছেন মুমিনুল। তাতে ৭ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা।     

গতকাল আলো ছড়ানো তাইজুল ইসলাম এদিন কোনও উইকেট পাননি। ১০৯ রানে মোট ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো বোলিং করেছেন মুমিনুল হক। মাত্র ৩.৫ ওভারে ৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান।  

নবম উইকেটের জুটিতে লিড নিয়েছে নিউজিল্যান্ড

দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকালে তাইজুল ঝলকে তৃতীয় দিনে সুন্দর সকালের আশায় ছিল বাংলাদেশ। কিউইদের দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে লিড পাওয়ার আশায় ছিল। কিন্তু নবম উইকেটে কাইল জেমিসন-টিম সাউদি সেটি হতে দিলে তো! জুটি গড়ে উল্টো লিড নিয়েছে সফরকারী দল। সকালের সেশনে প্রায় ঘণ্টা খানেক বাংলাদেশকে হতাশ করে স্কোরবোর্ডে রান জমা করেছে এই জুটি।    

কিউইদের দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার আশায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুই সেশন জুটি গড়ে খেললেও শেষ সেশনে বাংলাদেশের স্পিনে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারায় নিউজিল্যান্ড। জীবন পাওয়া কেন উইলিয়ামসনই মূলত কিউইদের টেনে নিচ্ছিলেন। তার পর শেষ বিকালে সেঞ্চুরি পাওয়া কেন উইলিয়ামসনের প্রতিরোধ ভেঙে মুহূর্তেই ইনিংসের গতিপথ বদলে দিয়েছেন তাইজুল। নতুন নামা ইশ সোধিকেও তিনি ফেরালে দ্বিতীয় দিনে ২৬৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এখন প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার আশা নিয়ে প্রথম টেস্টে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছে স্বাগতিক দল। কিউইরা এখনও ৪০ রানে পিছিয়ে।  

বল হাতে ঝলক দেখানো তাইজুল ছিলেন দ্বিতীয় দিনের সেরা বোলার। বামহাতি স্পিনার ৮৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে নিয়েছেন নাঈম হাসান, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম।