বিনোদন ডেস্ক
মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স তথা এমসিইউ’র জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে কতখানি, তা বলা বাহুল্য। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির যত সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, সবগুলোই হয়েছে সফল। আর যেসব কমিক চরিত্র পর্দায় আসার পর আকাশচুম্বী সাফল্য পেয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ‘আয়রন ম্যান’। যে চরিত্রে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন হলিউড তারকা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র।
তবে ২০১৯ সালে ‘অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেম’ ছবিতে আয়রন ম্যানের মৃত্যু দেখানো হয়। যা অগণিত ভক্তের মনে আঘাত করেছে। ফলে অনেকেই প্রত্যাশা করছিলেন, কোনও না কোনওভাবে আয়রন ম্যান রূপে ফিরে আসবেন টনি স্টার্ক তথা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। এ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল।
কিন্তু সেই গুঞ্জনে জল ঢেলে দিলেন মার্ভেল স্টুডিওসের প্রেসিডেন্ট কেভিন ফিজ। স্পষ্টভাবে জানালেন, তাদের সিনেমাটিক ইউনিভার্সে আয়রন ম্যান আর ফিরছেন না। এক সাক্ষাৎকারে কেভিন ফিজ বলেন, ‘ওই মুহূর্তটা ধরা রাখা এবং সেটাকে অপরিবর্তিত রাখার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা সবাই অনেক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি এই মুহূর্তটার (আয়রন ম্যানের মৃত্যু) জন্য। এবং আমরা কখনওই চাই না, কোনও জাদুকরি উপায়ে সেটাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে।’
রবার্ট ডাউনি জুনিয়রকে ছাড়া মার্ভেল ইউনিভার্স অনেকের কাছেই অসম্পূর্ণ মনে হবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, আয়রন ম্যান চরিত্রে তাকে নেওয়ার সময় দ্বিধায় ছিলেন নির্মাতারা। কেবল কেভিন ফিজ ও ছবির পরিচালক জন ফ্যাভরিউর ইচ্ছাতেই তাকে ছবিতে নেওয়া হয়।
বলা জরুরি, ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের প্রথম সিনেমা ‘আয়রন ম্যান’। এই ছবি থেকেই টনি স্টার্ক তথা আয়রন ম্যানের ভূমিকায় কাজ করে আসছিলেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। আর পরবর্তীতে তিনিই হয়ে ওঠেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মূল তারকা। এ বিষয়ে কেভিন ফিজ বলেন, ‘আমরা প্রায়শ মজা করে বলতাম, রবার্ট আমাদের এই ডিপার্টমেন্টের অভিনয় প্রধান ছিল এবং প্রত্যেকেই তাকে দেখে উৎসাহ নিতো। বন্ধুসুলভ নেতার মতো সে সবাইকে আগলে রাখতো।’
প্রসঙ্গত, রবার্ট ডাউনি জুনিয়রকে সর্বশেষ দেখা গেছে চলতি বছরের আলোচিত সিনেমা ‘ওপেনহাইমার’-এ। ক্রিস্টোফার নোলান নির্মিত এই ছবিতে তিনি ছাড়াও আছেন কিলিয়ান মারফি, এমিলি ব্লান্ট, ম্যাট ডেমন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :