‘কারার ওই লৌহ কপাট’ নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভা


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ১:৫০ অপরাহ্ন /
‘কারার ওই লৌহ কপাট’ নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভা

বিনোদন রিপোর্ট

ভারতীয় সিনেমায় কালজয়ী গান ‘কারার ওই লৌহ কপাট’-এর সুর বিকৃতির অভিযোগে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় প্রেসক্লাবে। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই গানের সুর বিকৃতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশবরেণ্য নজরুল সংগীতশিল্পীসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলেন, এই গানের বিকৃত উপস্থাপনার প্রতি আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের সুর বিকৃতির প্রতিবাদে আলোচনা ও প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন দেশবরেণ্য শিল্পীরা। সভার আয়োজন করে নজরুল চর্চা কেন্দ্র ‘বাঁশরী’।

আলোচনা সভায় ড. লীনা তাপসী খান বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলামের এত সুন্দর একটি কালজয়ী গান, সেই গানটি শুধু গান ছিল না। এই গানটি একটি জাতীয় সম্পদ, এই গানটি নিয়ে এ আর রাহমানের নাড়াচাড়া করা উচিত হয়নি।’  

ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, “কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের ব্যাপারে কি চুক্তি হয়েছিল আমরা এখনও জানি না। আমরা এখনও ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। এটা আমাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে।’’

আরেক নজরুল সংগীতশিল্পী সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন-এর পরবর্তীকালেও নজরুল নজরুলের মতো করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন প্রতিটি বাঙালির ভেতরে। আমি এই গানের সুর বিকৃতির প্রতিবাদ জানাই।’

সভায় স্বাগত বক্তব্যে বাঁশরীর সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান বলেন, ‘কবির সকল সৃষ্টি বাঙালি জাতি তথা বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এই কালজয়ী গানের বিকৃতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। অমর সৃষ্টি এই গানটি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং জেল থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিসহ সমস্ত রাজনৈতিক আন্দোলনে গানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’ 

একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, ‘‘বাঙালি হিসেবে আমরা যদি দু’জন বাংলা সাহিত্যিকের নাম বলি তাহলে নজরুলের নাম বলতেই হবে। আমরা সেই নজরুলের গান ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ ষাটের দশকে কত হাজার বার গেয়েছি, এর কোনও হিসাব নেই। আজ তার এই কালজয়ী গানের সুর বিকৃত করে ভারতের চলচ্চিত্রে প্রচার হচ্ছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমরা সকলে মিলে ভারতীয় হাই-কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান করবো।’’