বিনোদন রিপোর্ট
গেলো মাসের প্রথম সপ্তাহে মুক্তি পায় বলিউড সিনেমা ‘খুফিয়া’। বিশাল ভরদ্বাজ নির্মিত এই ছবির মাধ্যমে হিন্দি সিনেমায় অভিষেক হয়েছে ঢাকার অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের। স্পাই-থ্রিলার ঘরানার ছবিটির গল্পে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও রয়েছে। আবার ছবির একটি দৃশ্যে সমকামী ভূমিকায়ও দেখা দিয়েছেন বাঁধন।
এসব কারণে ‘খুফিয়া’র সমালোচনা করেছেন অনেক দর্শক। কেউ কেউ বলেছেন, ছবিটিতে বাংলাদেশকে নেতিবাচক ভঙ্গিতে দেখানো হয়েছে। কেউ আবার টাবুর সঙ্গে বাঁধনের অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
বিষয়টি ঢাকার গণমাধ্যমের সঙ্গে সেভাবে কথা বলেননি বাঁধন। তবে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভিন্ন এক আয়োজনে উঠে আসে ‘খুফিয়া’ প্রসঙ্গ। তখন বিতর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁধন জবাব দেন, ‘আমি একজন অভিনেত্রী। আমার সেই স্বাধীনতা আছে যে, কোন চরিত্র পছন্দ করবো, কোন চরিত্রে কাজ করবো। আমি সেই জায়গা থেকেই কাজটা করতে গিয়েছি, এবং জেনে বুঝেই গিয়েছি।’
বাঁধন মনে করেন, নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক সাড়াই বেশি পেয়েছেন। তার ভাষ্য, “বাংলাদেশের দর্শক যে এতো সেনসেটিভি ও প্রগ্রেসিভ, তারা যে নানা রকমের গল্প দেখার জন্য প্রস্তুত, সেটা ‘খুফিয়া’র রেসপন্স দেখে আমি বুঝতে পেরেছি। আমি অনেক কৃতজ্ঞ দর্শকের কাছে।”
এই ছবিতে বলিউডের দাপুটে অভিনেত্রী টাবুর সঙ্গে অভিনয় করেছেন বাঁধন। এ প্রসঙ্গে পর্দার ‘রেহানা’ বললেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে টাবুকে অনেক পছন্দ করি। তার অভিনয় তো বটে, ব্যক্তিত্বও খুব পছন্দ করি। সহশিল্পী হিসেবে তার সঙ্গে শুটি করাটা খুব কঠিন ছিল। কারণ তার প্রতি আমার ভালোলাগাটা ওভারকাম করেই কাজটা করতে হয়েছে।’
বাঁধন জানান, অল্প-বিস্তর কাজের প্রস্তাব ঠিকই পান। কিন্তু গল্প ও চরিত্রে তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেন না বিধায় অধিকাংশ প্রজেক্ট ফিরিয়ে দিতে হয়। তবে অবশেষে নতুন একটি ছবিতে যুক্ত হয়েছেন তিনি। যেটার নাম ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। এটি পরিচালনা করছেন সানী সানোয়ার।
বাঁধনের মতে, গল্পটা হত্যা রহস্য নিয়ে। যেটা সাম্প্রতিক সময়ের খুব চেনাজানা প্রেক্ষাপট। তবে পুলিশের চরিত্র দেখেই তিনি এতে যুক্ত হয়েছেন। কেননা এর আগে পুলিশের ভূমিকায় কখনও কাজ করেননি তিনি।
সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হবে এই ছবি। এতে বাঁধনের সঙ্গে থাকছেন মিশা সওদাগর, ফারুক আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ প্রমুখ। প্রযোজনায় কপ ক্রিয়েশন ও বিঞ্জ।
আপনার মতামত লিখুন :