আশ্রয় ডেস্ক
বাংলাদেশে অতীতে একতরফা নির্বাচন এবং বর্তমানে এক দলীয় শাসনব্যবস্থা জনগণের অধিকারগুলোকে চরমভাবে লঙ্ঘিত করছে। বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা খুন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমানে এই সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাধিকার আদায়ের গণআন্দোলন চলছে। সরকারের পতন না ঘটানো পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ সরকারের গুম-খুন, গণতন্ত্র হত্যা, ভোটাধিকার হরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে এই মানববন্ধন আয়োজিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে ১২ দলীয় জোট।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘এই সরকার গত ১৫ বছরে জুলুম-অত্যাচারের আঘাত জনগণের পিঠে বসিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না ঘটানো পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’
বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘এই সরকার ভারতকে খুশি করতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ ভারতের দাদাবাবু-কাকাবাবুরা তাকে ক্ষমতায় রাখার ষড়যন্ত্র করছে। এবার এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন বাংলার মাটিতেই হবে।’
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, ‘এই সরকার বিনা বিচারে ক্রসফায়ারে হত্যা, বাসায় খুন, কারাগারে খুন, জেল-হাজতে মানুষ হত্যা করেছে। এই সরকার মানবতাবাদী নয়, ফ্যাসিবাদী সরকার।’
আপনার মতামত লিখুন :