দন্ডিত তারেক জিয়াকে আশ্রয় দিয়ে যুক্তরাজ্য ললাটে কলঙ্কের তিলক এঁকেছে : আ জ ম নাছির


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১২, ২০২৩, ২:৫৭ অপরাহ্ন /
দন্ডিত তারেক জিয়াকে আশ্রয় দিয়ে যুক্তরাজ্য ললাটে কলঙ্কের তিলক এঁকেছে : আ জ ম নাছির

আশ্রয় ডেস্ক

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পুত্র, দ-প্রাপ্ত তারেক রহমান লন্ডনে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সভ্য দেশ হিসেবে দাবিদার যুক্তরাজ্যের ভূমিকা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। মানবতা বিরোধী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে তারা তাদের কপালে কলঙ্কের তিলক এঁকে দিয়েছে। এই লজ্জা সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের।
তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ও ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে একথা বলেন।
১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কাউন্সিলর আলহাজ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে ও ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইলের সভাপতিত্বে পৃথক দু’টি বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ বদিউল আলম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, থানা আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মো. আসলাম হোসেন, রেজাউল করিম কায়সার, সাবের আহমদ সওদাগর, লুৎফুল হক খুশি, নগর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল আমিন, ওয়াহিদুল আমিন, মহিলা কাউন্সিলর হুরে আরা বিউটি, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম, আখতারুজ্জামান চৌধুরী, বাহার এ আলম, মো. হাসান, জাকের আহমদ সওদাগর, শামসুল আলম শামসু, নওয়াব আলী প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন যথাক্রমে শওকত আলী ও আসলাম হোসেন সওদাগর।
প্রধান অতিথি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াত যখনই ক্ষমতায় ছিল তখন তারা এদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করেছিল। পাকিস্তান নামক দেশটি অবৈজ্ঞানিক ও অবাস্তব একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা কখনো চিরস্থায়ী হতে পারে না বলেই পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক বাঙালির জাতিসত্তা গঠন করেছিল।
তিনি বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার যোগসাজশে সপরিবারে হত্যা করার পর মোস্তাক-জিয়াচক্র এদেশকে আবারো পাকিস্তান বানানোর স্বপ্নে বিভোর ছিল। কিন্তু ইতিহাসের অনিবার্য নিয়মে তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বিশ্বাসঘাতক খোন্দকার মোস্তাকের মৃত্যুর পর তার জানাজায় মানুষ তো দূরের কথা, একটি কাক পক্ষীও শরিক হয়নি। সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমানের লাশ এক খ- মাংসপিন্ডে পরিণত হয়। এটাই হল ইতিহাসের অনিবার্য পরিণতি।
আ জ ম নাছির বলেন, দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র করেছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য এদেশের মানুষকে জিম্মি করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করা এবং তা বিদেশে পাচার করা। দ-প্রাপ্ত তারেক রহমান লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। অথচ সেখানে তার কোনো ব্যবসা বাণিজ্য নেই। তার এই বিলাসী জীবনযাপনের অর্থ কোথা থেকে আসে-তা জাতি জানতে চায়। একথা বলতে কোনো দ্বিধা নেই তারেক রহমান দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের আখড়া হাওয়া ভবন থেকে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং করেছে। এই টাকা লন্ডনে তারেক রহমানের বিলাসবহুল জীবন যাপনের উৎস। এই ভীরু ও কাপুরুষ লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিএনপি’র ধ্বংসাত্মক রাজনীতির দিক নির্দেশনা দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত তারিখে নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী যাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণপভাবে সুম্পন্ন হয় সেজন্য আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে থাকবো এবং প্রতিটি এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সদা সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।