ধানের অবৈধ মজুত করলে ছাড় নয়: খাদ্যমন্ত্রী


Assroy প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২২, ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন /
ধানের অবৈধ মজুত করলে ছাড় নয়: খাদ্যমন্ত্রী

আশ্রয় ডেস্ক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্যে বলেছেন, বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাপাসিটির (সক্ষমতা) বেশি অবৈধ মজুত করলে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে দেশের ছয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলারদের সঙ্গে বৈঠক বসেছিলাম। তারা বলেছে করপোরেট প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা করে ধান কিনছে, মজুতও করছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান মোটা চালের ব্যবসা না করলে আমাদের সাথে বসার প্রয়োজন ছিল না। মিলাররা আপনাদের দিকে আঙ্গুল তোলে। মিডিয়াও দোষারোপ করে। আমরা প্রকৃত চিত্র জানতে চাই।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, করপোরেট প্রতিষ্ঠান ভ্যালু অ্যাড করে বাজারে পণ্য বিক্রি করে। সে কারণে তারা বেশি দামে বাজার থেকে ধান কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাজার থেকে অল্প পরিমাণ ধান কিনলেও তার প্রভাব পড়ে খুব বেশি। তখন অন্যরাও বেশি দামে ধান কিনতে বাধ্য হয়। এটা বাজারের জন্য অশুভ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে বাজারে চাল পাওয়া যাচ্ছে, যেটাতে এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য) লেখা থাকে। আমরা চাই এর পাশাপাশি মিলগেটের দামও লেখা থাকুক। বস্তায় মিলগেটের দাম লেখা থাকলে হঠাৎ করে কিংবা অযৌক্তিকভাবে খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়াতে পারবে না।

খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাজারে কেউ ধান চাল কিনছে কিনা বা অবৈধ মজুত করছে কিনা তা নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কেউ ক্যাপাসিটির (সক্ষমতা) বাইরে মজুত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে মজুতের ক্যাপাসিটি রিভিউ করবো।

সিটি গ্রুপ, স্কয়ার, প্রাণ-আরএফএল, মেঘনা গ্রুপ, এসিআই ও আকিজ অ্যাসেনশিয়াল—এর প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন। এসময় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বস্তায় মিলগেটের মূল্য লেখার বিষয়ে সম্মতি জানায়। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্যাপাসিটি ও ক্রয়বিক্রয়ের চিত্র তুলে ধরেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, এফপিএমইউ’র মহাপরিচালক শহিদুল আলমসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।