আশ্রয় ডেস্ক
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট। তবে দলটির কোনও নিবন্ধন না থাকায় কোনও জোটের অধীনে বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান এই ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনকালীন পরিবেশ পরিস্থিতি, ঘোষিত তফসিল এবং বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পদ্ধতি ও পরিকল্পনা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট এবার নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে আমাদের দল এখনও নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নয়। যার কারণে আমাদের দলীয় কোনও প্রতীক নেই। তাই আমরা কীভাবে নির্বাচন করবো সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের দল মহাজোটের অন্যতম অংশীদার ছিল। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট কোনও নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তবে আওয়ামী লীগ এবং তার দলীয় প্রধানের প্রতিটি দুর্দিনে আমরা পাশে ছিলাম এবং থাকবো। তবে সরকারের দোষ ত্রুটি সমালোচনা করতে আমরা কখনোই ছাড় দেই না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে অবশ্যই নির্বাচনে আসা উচিত। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে যত ভালো বা নিরপেক্ষ নির্বাচনই হোক না কেন সেটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে না।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অধীনে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচনে যাবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা মহাজোটের অধীনে নির্বাচনে যেতে পারি, অথবা মহাজোটের শরিক দলগুলোর প্রতীকে নির্বাচনে যেতে পারি, কিংবা স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচনে যেতে পারি।
বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট কতগুলো আসনে প্রার্থী দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখন ৪০ থেকে ৪৫টি আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুত।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুর রহিম হাজারী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বোরহান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাওলান তাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সালামত উল্লাহ, ঢাকা মহানগরের যুব বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন খোকন প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :