নুরদের ‘কফিন’ মিছিলে পুলিশের বাধা


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩, ৩:১৬ অপরাহ্ন /
নুরদের ‘কফিন’ মিছিলে পুলিশের বাধা

আশ্রয় ডেস্ক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে আওয়ামী লীগের ‘ভোট ডাকাতি’র প্রতিবাদে কফিন মিছিল করার কথা ছিল গণঅধিকার পরিষদের। মিছিলের শুরুতেই বাধা দিয়ে পুলিশ মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

তারা বলেন, মিছিল বন্ধ না করায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানের সঙ্গে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে দুর্ব্যবহার করে পুলিশ। কয়েকদফা ধাক্কা দিয়ে আটকের হুমকি দেয়। নেতাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে, লাথি দিয়ে কফিন ভেঙে ফেলে। ধস্তাধস্তিতে শীর্ষ নেতাদের অনেকে পড়ে গিয়ে আহত হন।’

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিজয়নগর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা দুই-আড়াইশ’ লোক শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে চেয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ বাধা দেয়। লাথি দিয়ে আমাদের কফিন ভেঙে ফেলে। এটি কি পুলিশ করতে পারে? কোন আইন অনুযায়ী তারা এসব করলো?’

পুলিশ সদস্যদের হাতে ইলেকট্রিক শক লাঠি, টিপ ছুরির মতো জিনিস ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের চেয়ে পুলিশের সংখ্যা বেশি। ভিড়ের মাঝে কাউকে ছুড়িকাঘাত করা বা পুলিশেরই কোনও সদস্যকে ছুড়িকাঘাত করে আমাদের ওপর দায় চাপাতো। ২৮ অক্টোবর ছাত্রলীগ, যুবলীগকে দিয়ে পুলিশ হত্যা করিয়ে মির্জা ফখরুলদের আসামি করা হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে রাজধানীর বিজয়নগর মোড়ে গণঅধিকার পরিষদের কিছু নেতাকর্মী মিছিল করছিলেন। ওই সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে চলতে বলে। তাদের কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। মিছিলে কফিন পুলিশ ভাঙচুরের অভিযোগের সত্যতা কতটুকু– আসলে এ রকম কিছু ঘটেনি। তাদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে, আর কিছু নয়।’

মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুর বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে জনগণের ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ আমাদের এই কফিন মিছিল। গণতন্ত্র এখন কফিনে। আমরা গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণ করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘মারামারি, হানাহানি, হত্যার রাজনীতির অবসান চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে চাই, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। ২১ আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলার ভয় থাকলে কথা দিচ্ছি, আমরা আপনার পাশে থাকবো।’

এ সময় আরও ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানসহ অন্যরা।