মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি আজ


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২২, ২০২৩, ৭:৫৫ পূর্বাহ্ন /
মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি আজ

আশ্রয় ডেস্ক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় জামিন শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য রয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।

গত ২০ নভেম্বর মামলাটির জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানির জন্য সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ২২ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশর সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন–বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডুনার, সদস্য সচিব আমিনুল হক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীরা হাতে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইট-পাটকেল ও ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয় এবং মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তারা বৈশাখী পরিবহনের বাসসহ একাধিক বাস, পিকআপ ভাঙচুর করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। মিছিলকারীরা বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইট-পাটকেল এবং ককটেলসহ (বিস্ফোরক) বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে রাস্তায় জনসাধারণ এবং যানবাহনের চলাচলে প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টি করে যানবাহনের ক্ষতিসাধন, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা ও হত্যার উদেশ্যে আক্রমণ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করে।