‘শান্তিপূর্ণ অবরোধকে কালিমালিপ্ত করতে সরকার তৎপর’


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১২, ২০২৩, ১:৩০ অপরাহ্ন /
‘শান্তিপূর্ণ অবরোধকে কালিমালিপ্ত করতে সরকার তৎপর’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার শান্তিপূর্ণ অবরোধকে কালিমালিপ্ত করতে নানাভাবে তৎপর। তাদের এজেন্টরা নানাভাবে সন্ত্রাস, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ করে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছে। তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা, আন্দোলন-সংগ্রামকে ধ্বংস করতে চায়। এ কারণে গত ২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে নিজেদের এজেন্টদের দিয়ে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চতুর্থ দফা টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে রবিবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকারের যে ভাবগতি তাতে পরিষ্কার, তারা একতরফা নির্বাচন করতে চায়। সে জন্য তারা বিরোধী দলের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করে, দমন-পীড়নের মাধ্যমে নিজেদের রাস্তা পরিষ্কার করছে। আন্দোলনই একমাত্র পথ। আন্দোলন করে তাদের ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।’

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ না থাকলে তফসিল ঘোষণা না করার সাংবিধানিক অধিকার আপনাদের রয়েছে। স্থগিত করা বা পিছিয়ে দেওয়ার অধিকার আপনাদের আছে। দেশে নির্বাচনের কোনও পরিবেশ নেই। আপনারা সাংবিধানিক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করুন। একপাক্ষিক তফসিল ঘোষণা করবেন না। তা না হলে আপনাদেরও জনগণের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হবে। রেহায় পাবেন না।’

তিনি বলেন, ‘এই ভোটাধিকারের আন্দোলন মাত্র একটি নির্বাচনের আন্দোলন না। এই আন্দোলন দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এই আন্দোলনে আমাদের বিজয়ী হতে হবে। এখানে পরাজয়ের কোনও স্থান নেই। দেশের মানুষ এই লড়াই চালাবে যতক্ষণ পর্যন্ত বিজয় না আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সড়কে প্রতিদিন মানুষ মরছে আর সরকার উন্নয়নের বড়াই করে চলেছে। বড় বড় প্রকল্প, স্থাপনা আমরা দেখছি, কিন্তু মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, তাদের সেবার প্রাপ্তি আমরা দেখছি না। এই বৈপরীত্য নিয়েই দেশ চলছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ এবং সৌভিক করিম অর্জুনের স্মৃতির প্রতি, তাদের সংগ্রামী জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’

সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ আজ শুধু নির্বাচন, ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করছে না। এই লড়াই যেমন নির্বাচনের লড়াই, ভোটাধিকারের লড়াই, তেমনই এটি সরকার পরিবর্তনের লড়াই, দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লড়াই। সেই লড়াইয়ের সূচনার জন্য এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। তাকে অপসারণ করতে হবে। যারা এই লড়াই লড়ছে সামনে আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

এ সময় ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।