প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনায় এই মিলাদ-দোয়া অনুষ্ঠান করেন।
সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রায় ১১ মাস বন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। অন্যবার নানা কর্মসূচিতে দিনটি পালন করা হলেও এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে জনসমাগম না ঘটিয়ে শুধু দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করে দলটি।
দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যডভোকেট জাহাঙ্গির কবির নানক বলেন, উচ্চ বিলাসী সেনা কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্যই ১/১১ ঘটিয়েছে। কিন্তু বাংলার লাখো মানুষের তীব্র আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিয়েছিল। আজকের এই দিনে আমরা শেখ হাসিনা দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের এই দিনে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্ত হন। এ দিনটি প্রকৃতপক্ষে শুধু শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রেরও মুক্তি দিবস। কারণ, তিনি সারাজীবন ধরে গণতন্ত্রের জন্য ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ২০০৭ সালে যেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বন্দি করা হয়েছিল, সেদিন শুধু তাকেই নয়, গণতন্ত্রকেও বন্দি করা হয়েছিল।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলে অনির্বাচিত সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ প্রায় এক বছর কারাভোগের পরে এ মুক্তির মাধ্যমে অনির্বাচিত একটি সরকারের হাত থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের, বাংলাদেশের মানুষদের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও গণতান্ত্রিক বিনির্মাণে যারা বিশ্বাস করে তাদেরকে মুক্তি করা হয়েছে।
দোয়া ও মাহফিলে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস.এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবউদ্দিন ফরাজী উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের যে উল্টোযাত্রা শুরু হয়, তা ফেরাতে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটের অধিকার সুনিশ্চিত করতে সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বন্ধুর বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করতে হয়েছে তাকে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করে।
আপনার মতামত লিখুন :