সুন্দর জীবনের জন্য নদী, জলাশয় ও পরিবেশের সুরক্ষা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী


Assroy প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৪, ১:১৭ অপরাহ্ন /
সুন্দর জীবনের জন্য নদী, জলাশয় ও পরিবেশের সুরক্ষা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী

আশ্রয় ডেস্ক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মানুষের সুন্দরভাবে বাঁচতে নদী, জলাশয় ও পরিবেশের সুরক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশের অবক্ষয় রোধে আমাদেরকে নদীর সাথে, প্রকৃতির সাথে চলতে হবে। প্রকৃতির বিপরীত ধারায় গিয়ে আমরা কখনোই সুফল বয়ে আনতে পারব না। টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পানি উন্নয়ন প্রচেষ্টার অভিমুখীনতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার তাৎপর্য এবং তা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট কর্মধারা সম্পর্কে রাজধানীর পানি ভবনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ঢাকা ওয়াসার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে সহাবস্থান করেই বাঁচতে হবে। নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র নষ্ট হয়। এ লক্ষ্যে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা ও পানিসম্পদ ব্যবহারের টেকসইকরণে জোর দিতে হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পানি উন্নয়ন প্রচেষ্টা একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ।
কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জাতিসংঘের সাবেক উন্নয়ন গবেষণা প্রধান ড. নজরুল ইসলাম। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাসকিম এ খান।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ঢাকায় বন অধিদপ্তর পরিদর্শনের পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় বনভূমি সংরক্ষণ থেকে সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিতে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন সাবের হোসেন চৌধুরী । তিনি পাইলটিং ভিত্তিতে বন সম্প্রসারণের মাধ্যমে নতুন বন ঘোষণা করার ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে অবক্ষয়িত বন পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি গাজীপুরসহ বেদখল হয়ে যাওয়া ২ লক্ষ ৫৭ হাজার একরের বনভূমি জবরদখলমুক্ত করতেও বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন।
বনমন্ত্রী এ সময় গাজীপুরের শেখ কামাল ওয়াইল্ড সেন্টারকে কার্যকর করতে দুই সপ্তাহের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা জমা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, উপকূল জুড়ে নিরবিচ্ছিন্ন সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। বন্যপ্রাণীর আন্তর্জাতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র বিষয়ক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে বন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। নিজ নিজ দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বন সংরক্ষণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায়সহ বন অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের সকল এবং সারাদেশের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বন অধিদপ্তরের মিশন, ভিশন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সহ সার্বিক বিষয় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, ঢাকা’র বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ।