স্বতন্ত্রে ধরাশায়ী আ.লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা


Assroy প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৮, ২০২৪, ১:০০ অপরাহ্ন /
স্বতন্ত্রে ধরাশায়ী আ.লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা

আশ্রয় ডেস্ক

বিএনপি ও তাদের মিত্রদের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়জয়কার। সংখ্যার বিচারে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে জয়ী হয়েছেন। সরকারের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যসহ ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন। সরকারি দলের সভাপতিমণ্ডলীর একজন এবং সম্পাদকমণ্ডলীর তিন জন সদস্যসহ দেড় ডজন সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর সামনে টিকতে পারেননি।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত দেশের ২৯৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৬১টি আসনে। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জিতেছে।

এবারের নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ সৈয়দ সায়েদুল হক (ব্যারিস্টার সুমন) বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে পরাজিত করে চমক দেখিয়েছেন। তিনি হবিগঞ্জ-৪ আসনে প্রায় প্রায় ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে হারিয়েছেন। সৈয়দ সায়েদুল হক পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুব আলী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন। যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলীর ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট। স্বপন ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৩২ ভোট।

গত দুটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমানের (নিক্সন চৌধুরী) কাছে হারলেন নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাফর উল্যাহ এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো–চেয়ারম্যান ছিলেন। নৌকা প্রতীকে জাফর উল্ল্যাহ পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬ ভোট। নিক্সন চৌধুরী ঈগল প্রতীকে তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট।

মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ) ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে হেরে গেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মোসা. তাহমিনা বেগম ঈগল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৬৩৩ ভোট বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও সরকারের ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান পরাজিত হয়েছে। তিনি নির্বাচনে তৃতীয় হয়েছেন।

নেত্রকোনা-৩ আসনে পরাজিত হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। তিনি নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার হেরেছেন। ইফতিকার উদ্দিন পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৮০৩ ভোট। অসীম কুমার উকিল পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট।

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস হেরেছেন। মৃণাল কান্তি দাশ; ভোট পেয়েছেন ৮২ হাজার ৮৩৩টি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ ফয়সাল স্বতন্ত্র হিসেবে কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭০৫টি। ভোটের ব্যবধান ৬ হাজার ৮৭২ ভোট। 

পিরোজপুর-২ আসনে হেরেছেন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারমান সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হেসেন মঞ্জু হেরেছেন তারই একসময়কার এপিএস স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজের সাথে। মহারাজ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৫৪৪ ভোট, আর নৌকা নিয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৯৬ ভোট।

কুষ্টিয়া-২ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিনের কাছে হেরে গেলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী হাসানুল হক ইনু। ট্রাক প্রতীক নিয়ে কামারুল আরেফিন পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৮৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য ইনু পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭৯ হাজার ৭৩৫ ভোট ।

রাজশাহী-২ আসনে নৌকার বাদশাকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান। কাঁচি মার্কা নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৫ হাজার ১৪১টি। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২৩ ভোট।

আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা ভোটে পরাজিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে আরও রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ। তাঁকে গাজীপুর-৫ (সদর-কালীগঞ্জ) আসনে ভোটে হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান।

এবারের ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাতে কেউ নির্বাচিত হতে না পারেন, সেজন্য দলের নেতাদেরও স্বতন্ত্র হওয়ার সুযোগ দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরই প্রেক্ষাপটে ২২৫টির মত আসনে দলের মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নামেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন পাভেল ৩৯ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের মারজিয়া সুলতানা পেয়েছেন ২৫ হাজার ২০৫ ভোট।

নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক ৬৯ হাজার ৭১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০১। বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট।

কুড়িগ্রাম-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হামিদুল হক খন্দকার ট্রাক প্রতীকে ১ লাখ ২ হাজার ১২০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৪৫ ভোট।

গাইবান্ধা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (ঢেঁকি) প্রতীকে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী পান ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট।

গাইবান্ধা-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর (ট্রাক) প্রতীকে ৬৪ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম জাতীয় পার্টির আব্দুর রশিদ সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৭ ভোট।

রংপুর-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান রাঙ্গা পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।

রংপুর-৫ স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৭০৯ ভোট।  আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাশেক রহমান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৫৯০ ভোট।

নওগাঁ-৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা ৮৫ হাজার ১৮০ ভোট আর তার নিকটতম নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নহিদ মোর্শেদ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩২ ভোট।

নওগাঁ-৬ স্বতন্ত্র ওমর ফারুক ৭৬ হাজার ৬৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার আনোয়ার হোসেন হেলাল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭১ ভোট।

নাটোর-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৯৪৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৪৭।

বগুড়া-৩ বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী খান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মেদেহী। ট্রাক প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭৫০ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী অজয় কুমার সরকার কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮১৫ ভোট।

কুষ্টিয়া-১ রেজাউল হক চৌধুরী (ট্রাক) পেয়েছেন ৮৯ হাজার ২৭৪টি, নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস (ঈগল) পেয়েছেন ৫৩ হাজার ১০৫টি, সরওয়ার জাহান বাদশাহ (নৌকা) পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৬১টি।

কুষ্টিয়া-৪ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হারলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ। জর্জ নৌকা প্রতীক নিয়ে আসনটিতে পেয়েছেন ৮০ হাজার ১১১ ভোট। ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ৯৮ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রউফ।

ঝিনাইদহ-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে তাহজীব আলম সিদ্দিকী পেয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ২০৭ ভোট।

যশোর-৫ আসনে  আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ইয়াকুব আলী ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকার স্বপন ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৩২ ভোট।

যশোর-৬ স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের মো. আজিজুল ইসলাম ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট।

বরগুনা-১ ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরোয়ার টুকু ৬১ হাজার ৮৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম গোলাম সরোয়ার ফোরকান (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৭৪ এবং টানা চারবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (নৌকা) পেয়েছেন ৫৪ হাজার ১৬৮ ভোট।

বরিশাল-৪ নির্বাচিত হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ। ঈগল প্রতীকের এ প্রার্থী ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৯ ভোট। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৭৫ ভোট।

পিরোজপুর ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামীম শাহনেওয়াজ পেয়েছেন ৬২ হাজার ১৩০ ভোট। তার নিকটতম স্বতন্ত্র রুস্তম আলী ফরাজী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬২১ ভোট।

টাঙ্গাইল- ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানা বিজয়ী হয়েছেন। তার কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ডা. কামরুল হাসান রানা ভোট পেয়েছেন ৮২,৭৪৮ কামরুল হাসান খান পেয়েছেন ৬৯০৩৫ ভোট।

 টাঙ্গাইল-৪ স্বতন্ত্র আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম আওয়ামী লীগের মো. মাজহারুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট।

টাঙ্গাইল-৫ স্বতন্ত্র ছানোয়ার হোসেন ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম মানুর অর রশিদ নৌকা নিয়ে পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট।

শেরপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মো. ছানুয়ার হোসেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক (নৌকা), ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।

জামালপুর-৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট, তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট।

কিশোরগঞ্জ-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন ৮৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকার প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দ  ৬৮ হাজার ৯৩২ ভোট।

ময়মনসিংহ-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক সায়েম ট্রাক প্রতীকে ৯৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম জুয়েল আরেং নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৮৯২ ভোট।

ময়মনসিংহ-৫ স্বতন্ত্র নজরুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে ৫২ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৮ ভোট।

ময়মনসিংহ-৬ স্বতন্ত্র আবদুল মালেক সরকার ৫২ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম মোসলেম উদ্দিন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৫৫৮ ভোট।

ময়মনসিংহ-৭ স্বতন্ত্র এ বি এম আনিসুজ্জামান আনিছ ৭১ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৫৩১ ভোট।

ময়মনসিংহ-৮ স্বতন্ত্র মাহমুদ হাসান সুমন ৫৬ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ফখরুল ইমাম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৮৪ ভোট।

ময়মনসিংহ-১১ স্বতন্ত্র এম এ ওয়াহেদ ট্রাক প্রতীকে ৯৫ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪২০ ভোট।

মানিকগঞ্জ-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেলেন তিনবারের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। নৌকা প্রতীকে মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট। 

ফরিদপুর-৩ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট পেয়ে হেরে যান। এখানে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। তিনি ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট।

নরসিংদী-৩ প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান। সুনামগঞ্জ-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেন গুপ্তা ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পেয়েছেন ৫৮হাজার ৬৭২ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্রপ্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী জি এম ফরহাদ হোসেন ৪৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন  ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট।

কুমিল্লা-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ ৪৪ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তার নিকটতম নৌকা প্রতীকের সেলিমা আহমাদ পান ৪২ হাজার ৪৫৩ ভোট।

কুমিল্লা-৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার ৮৩ হাজার ৯৮১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭২ হাজার ১৪ ভোট পান।  

কুমিল্লা-৪ স্বতন্ত্র আবুল কালাম আজাদ ৯৬ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়ে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল পান ৮১ হাজার ২৫০ ভোট।  

কুমিল্লা-৫ স্বতন্ত্র আবু জাহের ৬৫ হাজার ৮১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন স্বপন ৬১ হাজার ৫২২ ভোট পান। নৌকা প্রতীকের আবুল হাসেম খান তৃতীয় হয়েছেন।

এছাড়া স্বতন্ত্র অ্যদের মধ্যে দিনাজপুর-১ আসনে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মো. জাকারিয়া, মানিকগঞ্জ-১ সালাউদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা-৪ মো. আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ঢাকা-১৮ মো. খসরু চৌধুরী, সিলেট-৫ মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, হবিগঞ্জ-১ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর-৪ মো. আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম-৮ আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম-১৫ আব্দুল মোতালেব এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মুজিবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।