স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে চাই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী


Assroy প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৪, ২০২৪, ২:২৫ অপরাহ্ন /
স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে চাই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

আশ্রয় ডেস্ক

পণ্য মজুত করে কেউ কৃত্রিম সংকটের চেষ্টা করলে শক্তভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ন্যায্য মূল্যে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দফতর-সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। ভয়-ভীতি নয়, আমরা সবাই আমাদের দেশকে ভালবাসি। দেশের মানুষ ভালো থাকুক এটাই সবার প্রত্যাশা। এ দেশের মানুষ যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাই সরকারের কাজ।’

আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘সরবরাহ ভালো থাকলে বাজারে কেউ কারসাজির সুযোগ পাবে না। আবার উচ্চমূল্যে বিক্রিরও সুযোগ পাবে না কোনও ব্যবসায়ী মহল। কারসাজি করে বাজার অস্থিতিশীল করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মজুতদারদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য মন্ত্রণালয় যেমন- কৃষি, খাদ্য ও শিল্পসহ সংশ্লিষ্ট দফতর-সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পোশাক শিল্পের মতো চামড়া ও পাট শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। একটি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকা যাবে না। পাট ও চামড়া শিল্পকে তুলে আনতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া, ইজরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের প্রভাব এবং ডলার সংকটের কারণে সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও আমাদের সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশ অবশ্যই সফল হয়েছে বলে দাবি করা যায়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘রমজান এলেই একশ্রেণির অসাধু গোষ্ঠী পণ্য মজুদ করে থাকে। এই মজুতদারদের শক্তভাবে মোকাবিলা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্য মজুতের ব্যবস্থা আছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। এটা সঠিক কিনা আমাকে জানতে হবে। তবে আমি আশাবাদী, আসন্ন রমজানে খাদ্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করে ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী মহলকে জানিয়ে দেবো, যারা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। কেউ যদি কারসাজি করে সাধারণ জনগণের পকেট কাটে, সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।’

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ আওতাধীন দফতর ও সংস্থার প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।