গাজীপুরে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভ, আহত ৪


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৬, ২০২৩, ৫:০৯ অপরাহ্ন /
গাজীপুরে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভ, আহত ৪

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে কমপক্ষে চার জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। সোমবার (৬ নভেম্বর) মহানগরীর কাশিমপুর, জরুন ও কোনাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম জানান, ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষের মুখে বন্ধ করে দেওয়া মহানগরীর কাশিমপুর, হাতিমারা, জিতার মোড়, জরুন ও কোনাবাড়ি এলাকার অধিকাংশ মিল কারখানা সোমবার সকাল থেকে খুলে দেওয়া হয়। তবে এদিন ওই এলাকার বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিক বিক্ষোভ করেন। দুপুরে খাবারের বিরতির পর ওই এলাকার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় ফিরে কাজে যোগ না দিয়ে হঠাৎ কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে এলে তাদের সঙ্গে আশেপাশের আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিক যোগ দেন। তারা মিছিল নিয়ে বিসিক এলাকাসহ কাশিমপুর, হাতিমারা, জরুন ও কোনাবাড়ি এলাকা প্রদক্ষিণ করে। আন্দোলনরত শ্রমিকরা কোনাবাড়ি-কাশিমপুর সড়কের জরুন থেকে জিতার মোড় এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করেন।

তিনি আরও জানান, এ সময় শ্রমিকরা টায়ার এবং আশপাশের এলাকা থেকে পরিত্যক্ত বিভিন্ন ব্যানার ও কাঠ কুড়িয়ে ওই সড়কের ওপর এনে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কের ওপর থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে চার জন আহত হয়েছেন। পরে শ্রমিকরা কোনাবাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়ায় পিছু হটেন তারা।

জিএমপি’র কোনাবাড়ি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার দুপুরের খাবারের বিরতির পর কয়েকটি কারখানার শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আশেপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা এদিনও দুপুরের পর ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।