বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির বিরুদ্ধে তার স্বামী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) হামিদুল আলম মিলনের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী সাহাদারা মান্নান রবিবার জেলা প্রশাসক এবং নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সোমবার বিকালে রিটার্নিং অফিসার জানান, অভিযোগের কপি হাতে পাননি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নান লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজাহাদী আলম লিপির স্বামী সরকারি সুবিধাভোগী হামিদুল আলম মিলন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন)। লিপি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে তার পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীকে দিয়ে তার পক্ষে কাজ করার জন্য সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। যা জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ১৪ অনুচ্ছেদের (১) নং উপ-অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
অভিযোগের কপি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, বগুড়া পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সারিয়াকান্দি থানার ওসিকে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ভোটাররা জানান, শাহাজাদী আলম লিপি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার তাজুরপাড়া গ্রামের শহীদুল্লাহ মন্ডলের মেয়ে। হলফনামা অনুসারে তিনি কোটিপতি এবং মেধা এন্টারপ্রাইজের মালিক। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি প্রায় এক বছর এলাকায় রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হিসেবে প্রশাসনের সহযোগিতা গ্রহণ করছেন। তিনি নৌকার টিকিট পাওয়ার আশায় গান গেয়ে ভোট চাইতে শুরু করেন। নির্বাচনি এলাকার দুটি উপজেলায় ব্যাপক শোডাউন করতে থাকেন। সভাগুলোতে লিপি দাবি করেন, অনেক এমপি তার পকেটে থাকে।
বগুড়া-১ আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, সোমবার বিকাল পর্যন্ত এমপি প্রার্থীর অভিযোগের কপি হাতে পাননি। এটি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে সোমবার বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপিকে ফোন দিলে তিনি ধরেননি। তবে তার স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা হামিদুল আলম মিলন বলেন, ‘বর্তমান এমপির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
আপনার মতামত লিখুন :