বগুড়ায় কিশোরকে হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৮, ২০২৩, ৩:১১ অপরাহ্ন /
বগুড়ায় কিশোরকে হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়া সদরে প্রকাশ্যে আল আমিন নামে এক কিশোরকে হত্যার অপরাধে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঘটনার চার বছর পর বুধবার বিকালে জনাকীর্ণ আদালতে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হাবিবা মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে আদালতের এপিপি নাছিমুল করিম হলি জানান, সাজাপ্রাপ্তরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার মৃত ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ। মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে আসামির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় রশি দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন– একই গ্রামের মৃত তছলিম উদ্দিন কিনুর ছেলে ইয়াকুব আলী শেখ ও আবদুর রাজ্জাক শেখ, আবদুর রাজ্জাক শেখের ছেলে মঞ্জু শেখ, ইসরাইল শেখের ছেলে নয়ন শেখ, ইয়াকুব আলী শেখের ছেলে সোহাগ শেখ ও মাসুম শেখ এবং তাদের জামাই গাবতলী উপজেলা মধ্যকাতুলী দক্ষিণপাড়ার মৃত নায়েব আলী শেখের ছেলে মো. খোরশেদ। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় সাজেদা বেগম, নাসিমা বেগম ও বৃষ্টি বেগম নামে তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে দুই পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৯ সালের ৬ জুন বেলা পৌনে ১১টার দিকে তুচ্ছ ঘটনায় আসামিরা বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রতিবেশী রফিকুল শেখকে মারপিট করছিলেন। এ সময় কিশোর আল আমিন (১৮) চাচাকে বাঁচাতে যায়। তখন ফরিদ শেখ হাতে থাকা সুলপি (ধারালো ফালা) আল আমিনের পেটে ঢুকে দিলে ভুড়ি বের হয়ে যায়। এ ছাড়া অন্য আসামিরা তাকে মারধর করেন। হামলায় আহত হন আরও ৪-৫ জন। মুমূর্ষু ও রক্তাক্ত আল আমিনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বাদশা শেখ পরদিন বগুড়া সদর থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আসামিরা গ্রেফতার হলেও পরে তারা জামিনে ছাড়া পান।

বগুড়া সিআইডি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ২০২০ সালের ৩০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। হত্যাকাণ্ডের মাত্র চার বছর পর আদালত বুধবার বিকালে রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন মিন্টু, শেখ রেজাউর রহমান মিন্টু ও সানোয়ার হোসেন মামলা পরিচালনা করেন।