আশ্রয় ডেস্ক
বরিশাল জেলার ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১০টি দলের ৩৫ প্রার্থীর মধ্যে পিএইচডি থেকে শুরু করে এমবিএ, অনার্স-মাস্টার্স ও এলএলবি পাশ করা ব্যক্তি রয়েছেন ২০ জন। এছাড়া এইচএসসি ও এসএসসি পাস করেছেন ৯ জন, স্বশিক্ষিত রয়েছে ছয় জন। এ বছর বেশিরভাগ প্রার্থী শিক্ষিত হওয়ায় বিষয়টিকে ভালো বলে মত দিয়েছেন সুশীলরা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে দাখিল করা হলফনামার তথ্য ঘেঁটে জানা গেছে, বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) জাতীয় পার্টির সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী এলএলবি, এনপিপির মো. তুহিন দাখিল এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ স্বশিক্ষিত।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন অর্থনীতিতে এমএ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস বিএ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন বিএসসি, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে ফাইয়াজুল হক স্নাতক, তৃণমূল বিএনপির মো. শাহজাহান সিরাজ এইচএসসি, তিনবারের এমপি মনিরুল ইসলাম এইচএসসি এবং এনপিপির সাহেব আলী স্বশিক্ষিত।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল হক পিএইচডি, স্বতন্ত্র আতিকুর রহমান বিএসসি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ টিপু সুলতান এলএলবি, জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু স্নাতক, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আজমুল হাসান জিহাদ এলএলবি, তৃণমূল বিএনপির শাহানাজ হোসেন এইচএসসি পাস।
বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ বিএসসি অনার্স, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের হৃদয় ইসলাম চুন্নু এসএসসি এবং জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান স্বশিক্ষিত।
বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক স্নাতক, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন স্নাতক, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আসাদুজ্জামান স্নাতক, সালাহউদ্দিন রিপন স্নাতক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহাতাব হোসেন এসএসসি ও এনপিপি’র আব্দুল হান্নান সিকদার স্বশিক্ষিত।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাফিজ মল্লিক মাস্টার ইন ডিফেন্স স্টাডিজ (এমডিএস), তৃণমূল বিএনপির টিএম হজিরুল হক তুহিন বিএ, জাসদের মোহম্মদ মোহসীন ডিপ্লোমা ইন কমার্স, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মাইনুল ইসলাম এলএলবি, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহবাজ মিঞা অনার্স, মো. কামরুল ইসলাম খান এমবিএ, জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্মা স্বশিক্ষিত, এনপিপির মো. মোশারফ হোসেন স্বশিক্ষিত।
এ ব্যাপারে বরিশালের সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক কাজী মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শিক্ষিত প্রার্থী বেশি থাকা এটা ভালো দিক। তবে শিক্ষিত হলেই হবে না, মানবিক ও নৈতিকতার মানুষ হতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন দেওয়া হলে দেশ ও রাজনীতির জন্য মঙ্গল। যারা রাজনীতিতে ছিল না এ ধরনের ব্যক্তি অথবা মাসলম্যান এবং যারা ভোট জোগার করে দিতে পারবে, যার কোটি কোটি টাকা রয়েছে সে ধরনের ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে সাধারণ মানুষের কোনও উপকারে আসে না।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচিত হবেন তারা হচ্ছেন আইনপ্রণেতা। তারা সংসদে গিয়ে কোনও কথা বলতে না পারলে সমস্যা। এ কারণে ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, যিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন শিক্ষিত ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া হলে তারা সংসদে কথা বলে স্মার্ট দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :