মায়ের বিরুদ্ধে যমজ শিশুসন্তানকে ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগ


Assroy প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২২, ২০২৩, ৩:৩৩ অপরাহ্ন /
মায়ের বিরুদ্ধে যমজ শিশুসন্তানকে ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি

স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে এক মা তার নবজাতক যমজ সন্তানকে ডোবার পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) গভীর রাতে যশোরের কেশবপুর পৌরসভার সাহাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত মা সুলতান ইয়াসমিনকে (২৭) আটক করেছে।

আটক সুলতানা ইয়াসমিন সাহাপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী। কেশবপুর থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম ১১ দিন বয়সী যমজ সন্তানকে হত্যার ঘটনায় তাদের মাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বছর দুই আগে সুলতানা ইয়াসমিনের সঙ্গে আবু বক্কর সিদ্দিকের বিয়ে হয়। তাদের উভয়েরই আগে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর সুলতানা বুঝতে পারেন তার স্বামী অন্য নারীতে আসক্ত। তাকে সেখান থেকে ফেরাতে বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা করেন এবং তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন।

গত ১০ নভেম্বর কেশবপুর শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে সুলতানা যমজ সন্তানের জন্ম দেন। এর মধ্যে একটি পুত্রসন্তান, অপরটি কন্যাসন্তান। জন্মের পর শিশু দুটির বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পরে তাদের কেশবপুরে এনে চিকিৎসা করানো হয়। ২১ নভেম্বর শিশুদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরদিন পুনরায় খুলনায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত দেড়টার দিকে পুত্রসন্তানটি নিস্তেজ হয়ে এলে মা সুলতানা তাকে বাড়ির পাশের ডোবায় নিক্ষেপ করেন। পরে কন্যাসন্তানটিকেও সবার অগোচরে একই ডোবায় ফেলে দেন।

এরপর ঘরে ফিরে ‘বাচ্চাদের পাওয়া যাচ্ছে না’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরিবারের লোকজন শিশু দুটিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। নবজাতকদের নানা আব্দুল লতিফ থানায় ফোন করে বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির দক্ষিণ পাশের ডোবা থেকে প্রথমে পুত্রসন্তানের মরদেহ এবং পরে কন্যাসন্তানটিকেও মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে সুলতানা ইয়াসমিন সবার অগোচরে শিশু দুটিকে ডোবায় নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন।

জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে কলহের জেরে এই কাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। যমজ শিশুর মা তার সন্তানদের ডোবায় নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন।’

আরও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।