লাইন কেটে ট্রেন দুর্ঘটনা: মূলহোতাসহ ২ জন গ্রেফতার


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩, ৩:০৬ অপরাহ্ন /
লাইন কেটে ট্রেন দুর্ঘটনা: মূলহোতাসহ ২ জন গ্রেফতার

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বনখড়িয়া (চিলাই রেল ব্রিজ) সংলগ্ন রেললাইন কেটে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত করার ঘটনায় নাশকতাকারীদের মূলহোতাসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তাদের কাছ থেকে কাটারসহ রেললাইন কাটার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারদের পরিচয় জানাননি তিনি। তবে এ বিষয়ে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বরে ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়া (চিলাই রেল ব্রিজ) সংলগ্ন স্থানে দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে ফেলে। এ ঘটনায় ঢাকাগামী ৭৯০ মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে একজন ব্যবসায়ী নিহত ও অন্তত ১০ যাত্রী আহত হন। নিহত ব্যক্তি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রওহা গ্রামের আসলাম মিয়া (৩৫)। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারী মূলহোতাসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি ইউনিট।

ডিএমপির ওই কর্মকর্তা জানান, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতার মূলহোতা ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির। রেল লাইন কাটায় সরাসরি অংশ নেন গাজীপুর মহানগরীর ২৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ইমন হোসেন। যুবদলের একজন শীর্ষ নেতার কাছ থেকে রেললাইন কাটার নির্দেশনা পান কবির। নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি গাজীপুরে ছাত্রদলের দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তারা হলেন- গাজীপুর মহানগরের আজিম উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তোহা ও গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা দুজন গাজীপুর সিটি করপোরশেনের স্থানীয় কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়ার বাসায় মিটিং করেন। তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল নাট-বল্টু খুলে রেল চলাচল বিঘ্ন ঘটাবে। কিন্তু কয়েকবার চেষ্টা করে তা করতে পারেনি। তাই কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেল লাইন কাটার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রসঙ্গত, ১৩ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের শ্রীপুর উপজেলার প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়া (চিলাই রেল ব্রিজ) এলাকায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের রৌহা গ্রামের মোছলেম উদ্দিনের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী আসলাম (৩৫) নিহত এবং ১০ জন আহত হন।