শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, স্বস্তিতে নারায়ণগঞ্জের তিন এমপি


Assroy প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৬, ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন /
শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, স্বস্তিতে নারায়ণগঞ্জের তিন এমপি

আশ্রয় ডেস্ক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের শরিক দল অংশগ্রহণ করেনি। ফলে নারায়ণগঞ্জের অনেক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী হেভিওয়েট প্রার্থী নেই। নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে (নারায়ণগঞ্জ-২, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও নারায়ণগঞ্জ-৫) এই তিনটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যদের (এমপি) বিপরীতে শক্ত কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে ভোটের লড়াইয়ে তারা কোনও রকম বাধা ছাড়া সহজ জয় পেতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দুই জন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। আর নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। ফলে ওই দুই আসনে ভোটের মাঠে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটারসহ সংশ্লিষ্টরা।

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। কারণ তার আসনে বড় কোনও রাজনৈতিক দলের তেমন কোনও হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এই আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন আরও চার প্রার্থী। তারা হলেন– তৃণমূল বিএনপির (সোনালি আঁশ) মো. আবু হানিফ হৃদয়, জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) আলমগীর সিকদার লোটন, জাকের পার্টির (গোলাপ ফুল) শাহজাহান, স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) হাজী মো. শরিফুল ইসলাম।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে তিনি এই আসনে বেশ জনপ্রিয়। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো তেমন কেউ নেই। তবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বেশ স্বস্তিতে রয়েছে। এই আসনের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে শক্ত কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন সাত জন। তারা হলেন–  তৃণমূল বিএনপির মো. আলী হোসেন, জাসদের মো. সৈয়দ হোসেন, জাকের পার্টির মো. মুরাদ হোসেন জামাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. সেলিম আহমেদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. হাবিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. শহীদ উন নবী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের গোলাম মোর্শেদ রনি।

এই আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একমাত্র প্রচারণায় দেখা গেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী মো. সেলিম আহমেদকে।

এদিকে বিজয় নিশ্চিত জেনে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। তিনি বলেন, ‘আমি ভোট চাইবো না। ভোট চাইতে হবে কেন। আপনারা ফুল গাছ লাগাবেন নাকি কাটা গাছ লাগাবেন সেটা আপনাদের চিন্তা করতে হবে।’

এই জেলার ৫টি আসনের মধ্যে একমাত্র নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেওয়া হয়নি। এখানে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান ভোটের মাঠে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে আরও চার জন। তারা হলেন– ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের এ এম এম একরামুল হক, জাকের পার্টির মোর্শেদ হাসান, তৃণমূল বিএনপির মো. আব্দুল হামিদ ভাষানী ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ছামসুল ইসলাম।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র বলছে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কোনও প্রার্থী এই আসনে নেই। শক্ত কোনও স্বতন্ত্র প্রার্থীও নেই তার আসনে।