২৭ টাকায় কিনে ৪৫ টাকায় আলু বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা


Assroy প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন /
২৭ টাকায় কিনে ৪৫ টাকায় আলু বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা

চট্টগ্রাম

ভারত থেকে আলু আমদানির খবরে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে কমেছে দাম। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েনি। কম দামে কিনে আগের দামে অর্থাৎ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। একইভাবে পেঁয়াজসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্য বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা। 

শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের বৃহৎ দুই পাইকারি আড়ত চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জে গিয়ে দেখা গেছে, আলু ও পেঁয়াজের দাম কমেছে। এই দুই বাজারে পাইকারিতে ২৬-২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। অথচ তাদের কাছ থেকে কিনে কেজিতে ১৯ টাকা বাড়িতে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। 

নগরীর আতুরার ডিপো বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ৪৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরায় দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে বাজারের ব্যবসায়ী আকবর হোসেন বলেন, ‌‘এসব আলু আগের কেনা। এজন্য আগের দামেই বিক্রি করছি।’

বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন শতাব্দী হাউজিং সোসাইটির আল্লাহর দান স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খুচরায় ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছি। পাইকারিতে ২৭ টাকা কেনা হলেও এক বস্তা আলু দোকানে আনতে গাড়ি ভাড়া দিতে হয় ১২০ টাকা। বিক্রি করতে কয়েকদিন সময় লাগে। এ কারণে ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি করতে হয়। না হয় আমাদের তেমন আয় হয় না।’ 

আলুর দাম কমেছে জানিয়ে খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শনিবার খাতুনগঞ্জে ২৬-২৭ টাকায় পাইকারিতে আলু বিক্রি করছি আমরা। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৩২-৩৫ টাকায় বিক্রি করেছি। ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কমেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও কমবে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা কেন দাম কমাননি, তা আমাদের জানা নেই।’

একইভাবে পেঁয়াজের দামও কমেছে উল্লেখ করে আবুল কাসেম বলেন, ‌‘খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০০-১০৫, মানভেদে দেশি ৬০-৬৫ এবং চীনা ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি আমরা।’

চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান খালেদ বলেন, ‘আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে আলুর সরবরাহ বেড়েছে। এজন্য দাম কমেছে। পেঁয়াজের দামও আগের চেয়ে অনেক কমেছে।’

নগরীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে দেশি, ১২০-১৩০ টাকায় ভারতীয় ও ৭৫-৮০ টাকায় চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

দামের এত পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী স্বপন আহমেদ বলেন, ‌‘আড়ত থেকে পাইকারিতে কিনে ১০-২০ টাকা বেশিতে বিক্রি করতে হয় আমাদের। কারণ গাড়ি ভাড়া, দোকান ভাড়াসহ নানা খরচ আছে। কেজিতে পাঁচ টাকা লাভ করলে কিছুই থাকে না।’ 

বাজার তদারকির বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান অব্যাহত আছে। আলু ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ দাম আরও কমার কথা। পাইকারির চেয়ে কেন এত বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা সে বিষয়ে খোঁজখবন নিচ্ছি।’