আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সাতদিনের যুদ্ধবিরতির শেষে এবার দক্ষিণ গাজার কিছু অঞ্চল ছাড়তে বলেছে ইসরায়েল। খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরের কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় উড়োজাহাজ থেকে লিফলেট ফেলে বেসামরিক নাগরিকদেরকে সতর্ক করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বাসিন্দাদেরকে গাজার দক্ষিণে গাজা-মিসর সীমান্ত ক্রসিং রাফাহর দিকে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। এদিকে শুক্রবার সকালে রাফাহর একটি শহরে বিমান হামলা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
খান ইউনিসের এই হামলার প্রতিবেদন তৈরি করার সময় গাজাবাসীর আহাজারি দেখে সাংবাদিক হিন্দ খুদারি বলেন, গাজার বাসিন্দারা চিৎকার করে বলছে, আমরা কোথায় যাবো। আমাদের যাওয়ার জায়গা নেই। যুদ্ধবিরতির পর এমন অতর্কিত হামলার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না।
গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবির এলাকা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে খুদারি বলেন, গাজা বাসিন্দাদের কোনও আশ্রয়স্থল নেই। এতটুকু নিরাপদ জায়গা নেই। ইসরায়েলি তাণ্ডবে সবাই বাড়ি-ঘর হারিয়েছে। হাসপাতাল ও জাতিসংঘের সুযোগ-সুবিধাগুলোতে ঘর-বাড়ি হারা হাজারো মানুষের ভিড়।
এর আগে ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর উত্তর গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে চলে আসতে বলেছিল ইসরায়েল। এবার দক্ষিণের ফিলিস্তিনিদেরও সরে যেতে বলছে তারা।
এমন পরিস্থিতিতে গাজার বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা করছে ইসরায়েল বাহিনী। এখন পর্যন্ত উত্তর গাজার বেইট লাহিয়ায় দুইজন, মধ্য গাজার মাগাজিতে সাতজন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে একজন, খান ইউনিসের দক্ষিণে হামাদ শহরে দুজন এবং মিসর-গাজা সীমান্ত রাফাহ ক্রসিংয়ের নিকট ৯জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সাতদিনের যুদ্ধবিরতির শেষে পুনরায় গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই রকেট ও বিমান হামলা চালিয়ে ২১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আগে গাজায় টানা ৫১ দিন আগ্রাসন চালিয়ে ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েক হাজার।
আপনার মতামত লিখুন :