কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রকাশিত হয়েছে।
জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের সিনিয়র উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান জানান, ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ মেধা তালিকায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯৬ দশমিক ৫০ এবং সর্বনিম্ন প্রাপ্ত নম্বর ৬৯ দশমিক ৫০। এবার মোট আসন সংখ্যার দ্বিগুণ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। ফলাফল
নিরীক্ষণে আগ্রহী প্রার্থী ১ হাজার টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট পেইজে ৩০ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। আগামী ২ নভেম্বর ফলাফল নিরীক্ষণের মাধ্যমে আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে। পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ও ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে (এইচটিটিপিএস://এসিএএস.ইডিইউ.বিডি) পাওয়া যাবে।
আজ সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে তাঁর অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় ফলাফল চূড়ান্ত করা হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জি. কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফ, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কে. এম. জাকির হোসেন, সিভাসু’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. কামাল, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ সারোয়ার আকরাম আজিজ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের প্রতিনিধি প্রফেসর ড. মো. শহিদুল হক, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের প্রতিনিধি প্রফেসর ড. মো. আতিকুর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের প্রতিনিধি প্রফেসর ড. এমদাদুল হক ও প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম, সিভাসু’র রেজিস্ট্রার ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মীর্জা ফারুক ইমাম, ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. ইমরান হোসেন এবং সিভাসু’র পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আবুল কালাম।
উল্লেখ্য, সিভাসু’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা গত ২৫ অক্টোবর সারাদেশে ১১টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এবার কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সর্বমোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৭১৮টি। আবেদন করেছিল ৭৫ হাজার ১৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫১ হাজার ৮৩৬ ভর্তিচ্ছু। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৬৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
কৃষিগুচ্ছে থাকা ৯ বিশ্ববিদ্যালয় হলো : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন ১১১৬), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন ৪৩৫), শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন ৬৯৮), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন ৪৪৮), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (আসন ২৭০), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন ৪৩১), খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন ১৫০), হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন ৯০) ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (আসন ৮০)।
আপনার মতামত লিখুন :