স্পোর্টস ডেস্ক
বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর এক সপ্তাহও পার হয়নি। আবার মাঠে নেমেছিল দুই দল। বিশাখাপত্তমে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে অধিনায়কত্বে অভিষেক হলো সূর্যকুমার যাদবের। রাতটা রাঙালেন স্মরণীয় করে।
সূর্য স্বীকার করলেন, ভারতের জার্সিতে নেতৃত্ব পাওয়ার অন্যরকম অনুভূতি কাটাতে সময় লাগবে তার। তবে এই দায়িত্বের চাপ মাথায় নেননি তিনি। মাঠে তার প্রতিফলন দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২০৯ রানের লক্ষ্য শেষ বলে অতিক্রম করেছে স্বাগতিকরা। ৪২ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন নতুন অধিনায়ক। ভারত জিতেছে ২ উইকেটে।
দেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে রেকর্ড রান তাড়া করে ভারতের জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সূর্য বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটা গর্বের মুহূর্ত। আপনি যখন ক্রিকেট খেলবেন, ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার কথা ভাববেন, সেটার রেশ কাটাতে সময় লাগবে। কিন্তু খুব গর্বিত আমি।’
নেতৃত্বকে বোঝা হিসেবে নেননি তিনি, ‘আমি (অধিনায়কত্বের) লাগেজ ড্রেসিংরুমে রেখে এসেছি। আমি কেবল আমার ব্যাটিং উপভোগের চেষ্টা করেছি, ১০ কিংবা ৪০ বল যাই খেলি না কেন।’
রিংকু সিংয়ের ছোট ক্যামিও ইনিংসকে কৃতিত্ব দিতে ভুল করেননি সূর্য। শেষ ওভারে ভারতের মাত্র ৭ রান দরকার ছিল। প্রথম দুই বলে চার ও সিঙ্গেল নিয়ে চাপ কমান রিংকু। কিন্তু টানা তিন বলে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তৃতীয় বলে অক্ষর প্যাটেল ফিরতি ক্যাচ দেন অ্যাবটকে। চতুর্থ বলে রিংকুকে স্ট্রাইকিং দিতে রান আউট হন রবি বিষ্ণয়। পঞ্চম বলে রিংকু দ্বিতীয় রান নিতে গেলে নন স্ট্রাইকে আর্শদীপ সিং আউট হন। শেষ বলে লাগতো ১ রান, ছক্কা মারেন রিংকু। কিন্তু বলটি নো ছিল, তাই ছয়টা তার নামের পাশে যুক্ত হয়নি। ওই নো বলেই টার্গেট পূরণ হয়ে গিয়েছিল, এক বল বাকি থাকতে জেতে ভারত। ১৪ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন রিংকু।
এই ব্যাটারকে নিয়ে সূর্যের ভাষ্য, ‘ছেলেরা যেভাবে স্নায়ুচাপ সামলে নিয়েছিল, সেটা দেখে ভালো লেগেছে। রিংকু নিজে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তার ঠাণ্ডা মাথায় খেলার কারণে আমি নিশ্চিন্ত ছিলাম।’
২২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন ইশান কিষাণ ও সূর্য। দুজনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া ছিল, ‘আমরা ইতিবাচক থাকতে চেয়েছিলাম। শুধু উপভোগ করে খেলতে চেয়েছিলাম। আমি কিষাণকে একটাই কথা বলেছিলাম, শুধু ব্যাটিং করে যাও, টার্গেটের দিকে তাকিও না।’
আপনার মতামত লিখুন :