আশ্রয় ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মূল লড়াই শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচ জয় দিয়েই শুরু করেছে বাংলাদেশ। তবে এই জয়ে কিছুটা অস্বস্তিও সঙ্গী হয়েছে সফরকারীদের ড্রেসিংরুমে। খর্বশক্তির স্বাগতিক দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স; বিশেষ করে বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। তারপরও রিশাদ আলমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ জিতেছে ২৬ রানের ব্যবধানে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার আগে ৫০ ওভারের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে সফরকারী বাংলাদেশ। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল একেবারেই নবীন একটি দল। নিউজিল্যান্ডের ডেভেলপমেন্ট স্কোয়াড থেকে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া হয়েছে নিউজিল্যান্ড একাদশ। এমন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের প্রস্তুতিটা ভালো হলেও বোলারাদের নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার কোন কারণ নেই। ৩৩৪ রান করেও জিততে সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
বার্ট সাটক্লিফ ওভালে আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিম মিলে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন। এনামুল ৩১ বলে ৩৩ রান করে আউট হলেও সৌম্য সরকারকে নিয়ে জুনিয়র তামিমের ১০১ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত যায় বাংলাদেশ। তামিম ৪৬ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন।
স্কোরবোর্ডে আরও ২২ রান যোগ হওয়ার পর সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। তার আগে ৭৮ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর দ্রুত তাওহীদ হৃদয় (০) ও আফিফ হোসেনের (১০) বিদায়ে চাপে পড়ে যায় তারা। সেই চাপ থেকে দলকে বের করে আনেন লিটন দাস ও রিশাদ হোসেন। দুইজনের ৭০ রানের জুটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ পেরিয়ে যায়্ আড়াইশো রানে। লিটন ৬৩ বলে ৫৫ রান করে আউট হলেও রিশাদ দারুণ ব্যাটিংয়ে দলের স্কোরকে তিনশতে নিয়ে যান। শেষ ব্যাটার হিসেবে ৪৯.৫ ওভারে আউট হন তিনি। ৫৪ বলের ঝড়ো ইনিংসে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৭ রানের ইনিংস খেলে থামেন এই লেগস্পিনার। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে থামে ৩৩৪ রানে।
নিউজিল্যান্ড একাদশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন সামার্থ সিং। জোই ফিল্ড ও জেমস হার্টশর্ন প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
৩৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে সহজেই জেতার কথা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু নিউজিল্যান্ড একাদশের ব্যাটাররা কঠিন লড়াই করেছে। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি স্বাগতিক ব্যাটাররা। মূল ম্যাচের আগে বাংলাদেশের বোলারদের জন্য শিক্ষার বড় মঞ্চ হতে পাড়ে এটি। ৪৯.২ ওভারে নিউজিল্যান্ড একাদশকে অলআউট করলেও তার স্কোরবোর্ডে জমা করে ৩০৮ রান। অধিনায়ক ভরত পোপলির ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস। এছাড়া সন্দীপ প্যাটেল খেলেন ৮৯ রানের ইনিংস। এই দুইজনের ইনিংসেই মূলত জয়ের স্বপ্ন দেখছিল স্বাগতিকরা। শেষ দিকে বাংলাদেশর বোলাররা কিছুটা চেপে ধরলে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড একাদশ।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রিশাদ হোসেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও আলো ছড়িয়েছেন এই লেগ স্পিনার। এছাড়া আফিফ হোসেন ও হাসান মাহমুদ নেন দুটি করে উইকেট।
আপনার মতামত লিখুন :