আশ্রয় ডেস্ক
ঘরোয়া ক্রিকেট তেমন কিছু না করেই জাতীয় দলে আরও একবার সুযোগ পেয়েছেন সৌম্য সরকার। কিন্তু নিজের প্রত্যাবর্তন ম্যাচটি রাঙাতে পারেননি তিনি। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগে ব্যর্থ হয়ে নিজেই সমালোচকদের সমালোচনা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। যদিও সৌম্যকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে দলের সতীর্থরাও। রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন এনামুল হক বিজয়। সৌম্যকে আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে গেছেন তিনি।
সাকিবের মতো অলরাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করতেই ফের সুযোগ দেওয়ার হয়েছিল সৌম্যকে। কিন্তু সুযোগটা বিন্দুমাত্র কাজে লাগাতে পারেনি এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ব্যাটিং ভুলে যাওয়া সৌম্য ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ ছেড়েছেন। বোলিংয়ে ৬ ওভারে দিয়েছেন ৬৩ রান। ব্যাটিং করতে নেমে ৪ বল খেলে ফিরেছেন শূন্য হাতে। তারপরও সৌম্যর পাথে তার সতীর্থরা।
সংবাদ সম্মেলনে এনামুল হক বিজয় বলে গেছেন, ‘একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে আরেক খেলোয়াড়ের মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না। আমি মনে করি ম্যানেজমেন্ট ভালো বুঝবে। একজন খেলোয়াড় হয়ে আরেকজনকে সাপোর্ট করবো। এটা একদম ভেতর থেকে আসে, যেই আসুক।’
বিজয় আরও বলেছেন, ‘সবাই তাকে (সৌম্য) পুরো সাপোর্ট দেবে। খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিটা খেলোয়াড়কে সমর্থন দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে বিজয় জানালেন পরিকল্পনার ঘাটতির কথা, ‘আরেকটু পরিকল্পনা করে আমরা সাজাতে (দল) পারতাম। আমরা যদি আরেকটু ধৈর্য্য ধরতাম, আরেকটু লম্বা সময় ক্রিজে থাকতাম তাহলে আমার কাছে মনে হয় দৃশ্যপটটা ভিন্ন হতে পারতো। যদি শেষ ৫ ওভারে ৫০ রানও লাগতো, আমরা ম্যাচটাকে বের করে আনতে পারতাম।’
রবিবার কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সর্বোচ্চ রান এসে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। তবে ভালো ছন্দে ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি। স্ট্রাইক রোটেট নিয়েই তার যত সমস্যা, সেখানেও দেখা গেছে ঘাটতি। ৪৩ রান করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউটের দায় অবশ্য নিজের কাঁধেই নিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার, ‘আমাদের অনেক ভালো সুযোগ ছিল, ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে একটা ছন্দও পেয়েছিলাম, ব্যাটিং ভালো হয়েছে, সবার মাঝে মানসিকতা ছিল যে ম্যাচ জিততে পারবো। অবশ্য দোষটা নিতে চাই যে ভুল আমি করেছি।’
আপনার মতামত লিখুন :