আগামীকাল ৯ নভেম্বর মহাকবি আল্লামা ইকবালের ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৭৭ সালের এই দিনে তিনি পাঞ্জাবের সিয়ালকোটে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের একজন মুসলিম কবি, দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও ব্যারিস্টার। তার ফার্সি ও উর্দু কবিতাকে আধুনিক ফার্সি ও উর্দু সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে পাকিস্তানের আধ্যাত্মিক জনক হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়া হয়। তিনি নিজের ধর্মীয় ও ইসলামী রাজনৈতিক দর্শনের জন্যও মুসলিম বিশ্বে বিশেষভাবে সমাদৃত ছিলেন।
আল্লামা ইকবাল ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশি, ইরানি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাহিত্যের বিশিষ্ট কবি হিসাবে প্রশংসিত। যদিও ইকবাল বিশিষ্ট কবি হিসাবে সর্বাধিক পরিচিত, তিনি ‘আধুনিক সময়ের মুসলিম দার্শনিক চিন্তাবিদ’ হিসাবেও অত্যন্ত প্রশংসিত। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আসরার-ই-খুদি ১৯১৫ সালে ফার্সি ভাষায় প্রকাশিত হয়। কবিতার অন্যান্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রুমুজ-ই-বেখুদি, পয়গাম-ই-মাশরিক ও জুবুর-ই-আজাম উল্লেখযোগ্য।
তার একটি বিখ্যাত চিন্তা দর্শন হচ্ছে ভারতের মুসলমানদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন। এই চিন্তা পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে। তার নাম মুহাম্মদ ইকবাল হলেও তিনি আল্লামা ইকবাল হিসেবেই সমধিক পরিচিত। ফার্সি সাহিত্যে অবদানের জন্য ইরানেও তিনি ছিলেন সমধিক প্রসিদ্ধ। তিনি ইরানে ইকবাল-ই-লাহোরী নামে পরিচিত।
পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ‘পাকিস্তানের জাতীয় কবি’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তার জন্মদিন ইকবাল দিবস পাকিস্তানে সরকারি ছুটির দিন হিসাবে পালন করা হয়।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আল্লামা ইকবাল সংসদ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। একই দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিকাল ৩টায় জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
সংসদ সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সেমিনারে ‘আল্লামা ইকবালের স্বতন্ত্র স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রের চিন্তা : আজকের বাস্তবতা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাসিক সংস্কার সম্পাদক প্রফেসর ড. ইসমাইল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাবোশি উপস্থিত থাকবেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. শহীদুজ্জামান, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুর রব, প্রখ্যাত কবি ড. মাহবুব হাসান এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ তোশারফ আলী।
আপনার মতামত লিখুন :