ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হলের সামনে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ


assroy প্রকাশের সময় : জুলাই ১৫, ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন /
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হলের সামনে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

আশ্রয় ডিজিটাল ডেস্ক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হলের সামনের রাস্তায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ চলছে। এ সময় পর পর ৫ থেকে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে এই নিউজ লেখা পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। শহীদুল্লাহ্ হলের ছাদ থেকেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করতে থাকে।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা লাঠি-সোঁটা নিয়ে সড়কে অবস্থান করছেন। তবে কারা এসব ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদ্দীন হলের মাঠে বিজয় একাত্তর হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় হলের ভেতর থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। হকিস্টিক, রড, লাঠি, হেলমেটসহ মারমুখী অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। এতে সাংবাদিকসহ কোটা আন্দোলনকারীদের কয়েকজন আহত হন।
রোববার (১৪ জুলাই) রাত ১১টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাম্পাস এবং হলগুলোতে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় মিছিল থেকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কীসের তোমার অধিকার, তুমি একটা রাজাকার ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, চীন ফেরত পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? তাদের নাতি-নাতনিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে? এটা আমার দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন। তাদের অপরাধটা কী? নিজের জীবন বাজি রেখে, নিজের পরিবার সব ফেলে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, দিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি পেরিয়ে, ঝড়বৃষ্টি সব মোকাবিলা করে যুদ্ধ করে এ দেশে বিজয় এনে দিয়েছিলেন। বিজয় এনে দিয়েছিল বলেই তো আজ সবাই উচ্চপদে আসীন। আজ গলা বাড়িয়ে কথা বলতে পারছে। তা না হলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে থাকতে হতো।