জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেছেন, সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এ দেশের মানুষ যে বিজয় অর্জন করেছে, সেই ঐক্য ও প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বাংলাদেশকে সুষ্ঠু ধারায় চালানোর জন্য শেখ হাসিনার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশে জাতীয়তাবাদী যুবদল সজাগ ও সতর্ক থাকবে, শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা কোথাও কেউ করলে সাধারণ মানুষ প্রতিহত করবে। তাদের সঙ্গে আমরা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরাও থাকবে। অর্জিত বিজয় যাতে কোনো ষড়যন্ত্রকারী নসাৎ করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক ঘোষিত আগামী ১৬ নভেম্বর শনিবার চট্টগ্রামে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় যুবদলের সাধারন সম্পাদক এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি’র সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম বিভঅগীয় প্রস্তুতি সভা নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পাহারা দেয়ার জন্য। এই দেশ নিয়ে তিনি খুব গর্ব করতেন। কারণ এই দেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এই দেশের মানুষগুলোও খুব মেধাবী, তাদের মাধ্যমে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নেয়া যাবে। কিস্তু দেশ বিরোধীরা নানা চক্রান্তের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মাটিতে তাকে শহীদ করেছেন। কারণ তিনি চট্টগ্রামকে বেশী ভালোবাসতেন।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের অনেক স্মৃতির কারণে যুবদল চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস যথাযোগ্য মহিমায় পালন এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর অবদান নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে, ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক আগামী ১৬ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার চট্টগ্রামে দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
নুরুল ইসলাম নয়ন আরো বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করে জনমানুষের রায় নিয়ে একটি নির্বাচিত সরকার দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারা দেশে জাতীয়তাবাদী শক্তি জেগে উঠেছে মন্তব্য করে পরাজিত শক্তি ও পরাজিত শক্তির দোসরদের মোকাবিলা করা হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যান থেকে মেজর জিয়া ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পরবর্তীতে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে নিজের জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ৭ নভেম্বর বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে আবদ্ধ থাকা সমীচিন নয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাথে সম্পৃক্ত, গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষ ও সেনাবাহিনীকে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের চেতনাকে ধারণ করে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রস্ততি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ মুন্না, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহাজাহান, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মো. জসিম, লক্ষীপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, বান্দরবান জেলা যুবদলের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন মাসুম, রাঙামাটি জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. নুরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মো. সায়েম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এসএ মুরাদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জিসান উদ্দিনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :