রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের হাইকমিশনারগণ, মিশরের রাষ্ট্রদূত ও ভ্যাটিকান সিটির এপস্টলিক নানসিও-এর পরিচয়পত্র পেশ


Assroy প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৭, ২০২৩, ১১:২১ পূর্বাহ্ন /
রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের হাইকমিশনারগণ, মিশরের রাষ্ট্রদূত ও ভ্যাটিকান সিটির এপস্টলিক নানসিও-এর পরিচয়পত্র পেশ

আশ্রয় ডেস্ক

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সাথে আজ দুপুরে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে মনোনীত শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের হাইকমিশনারগণ এবং মিশরের রাষ্ট্রদূত ও ভ্যাটিকান সিটির এপস্টলিক নানসিও পৃথকভাবে নিজ নিজ পরিচয়পত্র পেশ করেন।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত আবাসিক দূতগণ হলেন – শ্রীলংকার হাইকমিশনার ধর্মপালা উইরাকদি ও পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এবং মিশরের  রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি ও ভ্যাটিকান সিটির এপস্টলিক নানসিও কেভিন রেন্ডাল।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি সবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গত দেড় দশকে যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আইসিটি সহ বিভিন্ন খাতে দেশে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ এখন নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও বন্ধু প্রতিম দেশসমূহের সহযোগিতা এ উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, নতুন  দূতগণ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন।
সাক্ষাৎকালে নতুন দূতগণ বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

তাঁরা বাংলাদেশের সাথে নিজ নিজ দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।
তাঁদের কর্মক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের ও আশ্বাস দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস অশ্বারোহী দল অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূতদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।