রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুতে ইতিবাচক মিয়ানমার, মোদির সাথে বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাক্ষাত


assroy প্রকাশের সময় : জুলাই ১২, ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন /
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুতে ইতিবাচক মিয়ানমার, মোদির সাথে বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাক্ষাত

মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিটে যোগদানের পাশাপাশি ড. হাছান মাহমুদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এ মনোভাব ব্যক্ত করেন। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বিকেলে একথা বলা হয়েছে।
রিট্রিটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই বৈঠকে ড. হাছান মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের পূর্বের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে, তারা তাদের দেশ থেকে জোরপূর্বক উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। কিন্তু এটি কার্যে পর্যবসিত হওয়ার চিহ্ন এখনো পরিলক্ষিত হয়নি।
‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজীর রাখতে পারে’ উল্লেখ করে বিষয়টির ওপর গভীর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তার সরকারের সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর অভিপ্রায় পুণর্ব্যক্ত করেন।
এদিকে রিট্রিটের শেষ দিন শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এ দিন সকালে নয়াদিল্লির কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পঞ্চবটিতে বাংলাদেশের ড. হাছান মাহমুদসহ রিট্রিটে যোগদানকারী ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও নেপালের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে এই সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের সাথে কুশলাদি ও সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় শেষে ফটোসেশনে অংশ নেন।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭টি দেশের আঞ্চলিক জোট ‘বে অভ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)’ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই রিট্রিটে বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কার্যকর অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সাথেও সংক্ষিপ্ত পার্শ্ববৈঠকে নিত্যপণ্য আমদানি সুবিধা অব্যাহত রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরী দল প্রেরণের বিষয়সহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন।